মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১২

ঠাকুরগাঁওয়ের গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও :: আর্সেনিকের অভিশাপ থেকে রক্ষার্থে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় স্থাপিত গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। পানির পাম্প দুটি বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ দিন যাবত পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
২০০৩-২০০৪ অর্থ বছরে আর্সেনিকের অভিশাপ থেকে রক্ষার্থে সারাদেশে ৯০টি গ্রামীণ পানি সরবরাহ  প্রকল্প স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়ায় ১৫ লাখ টাকার প্রক্কলিত ব্যয় ধরে একটি প¬ান্ট স্থাপন করা হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় রুহিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও পোষ্ট অফিসের পার্শ্বে দুটি পাম্প স্থাপন করা হয়। ওই পাম্পের আওতায় ঘনিমহেষপুর ও ঘনিবিষ্ণপুর গ্রামে ২ কিলোমিটার পাইপ লাইন বিস্তৃত করে ৮০টি পরিবারে সংযোগ প্রদান করা হয়। যথারীতি ২জন অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রথম বছর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পরবর্তীতে স্থানীয় পানি সরবরাহ সমিতি প্রকল্পটি নিয়ন্ত্রণ করার কথা। মাসিক ৫০ টাকা ফ্রি গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করে ওই টাকায় অপারেটরের বেতন প্রদান ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ৩ বছরের মাথায় প্রকল্পের দুটি পাম্পই বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে নষ্ট হয়ে যায়। মেরামত করে এনে বসানোর কিছুদিনের মাথায় আবার নষ্ট হয়ে যায় মটর দুটি। তারপর আর পাম্প দুটি চালু হয়নি। সংশি¬ষ্ট অপারেটর আলম জানান, নষ্ট মটর দুটি মেরামতের জন্য জনস্বাস্থ্য অফিসে ৬মাস পূর্বে পাঠানো হলেও তা আর ফেরত না পাওয়ায় পাম্পটি সচল করা যাচ্ছেনা। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা গ্রামীণ পানির সুবিধা পাচ্ছেনা। পাইপ লাইন এলাকায় অনেক জায়গায় লাইন নষ্ট হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পানির সুবিধা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
পাম্প ব্যবহারকারি মাজেদুর রহমান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে পাম্পের মটর দুটি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই পানি সরবরাহ বন্ধ আছে।
ঠাকুরগাঁও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, আমি ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন এসেছি। রুহিয়ার পানি সরবরাহের প্রকল্পের কথা শুনেছি। সেটি আবার চালুর জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে আবেদন করবেন বলে তিনি জানান।


Ruby