সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১২

বাঘায় পৃথকভাবে ২ গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :: রাজশাহীর বাঘায় পৃথকভাবে পারিবারিক কোলহের জের ধরে দুই গৃহবধু আত্নহত্যা করেছে। তবে লাশ দুইটি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে নিজ নিজ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীনগর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে একই গ্রামের জৈনেক এক ব্যক্তির পরকীয় ছিল। ওই পরকীয়ার কারনে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় বাক-বিতন্ডা হতো। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসমাইল হোসেন তার স্ত্রীকে বকা দেয়। ওই বকা সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে শনিবার ভোর রাতে লাভলী বেগম নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। তবে লাভলীর বাবা মালেক ব্যাপারী পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। অপর দিকে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস আলীর মেয়ে গৃহবধূ সেফালী বেগম সেফার সাথে গাওপাড়া গ্রামের সেহেরুল ইসলামের প্রায় ৮ মাস পূর্বে সামাজিকভাবে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভাল চললেও রোববার ভাত রান্না করার খড়ি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ও স্বাশুরীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। সেফার পিতারও দাবি তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে ওই লাশ গতকাল সোমবার পৃথকভাবে নিজ নিজ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পূর্ন করা হয়েছে। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ হাশমী বলেন, লাশ ময়না তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবেনা। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে হত্যা না আত্নহত্যা তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Ruby