বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১১

যুদ্ধাহৃত মুক্তিযোদ্ধা কুরান শেখের স্মৃতিচারন.............. মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা পয়সায় নদী পাড়া পাড় করে সহযোগীতা করতাম

বাঘা নিউজ ডটকম, মিজানুর রহমান বিপ্লব,চারঘাট (রাজশাহী) ১৪ ডিসেম্বর : রাজশাহীর চারঘাটের ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনীর গুলিতে আহত যুদ্ধাহৃত কুড়ান শেখ (৬০) মানবেতর জীবন যাপন করছে। যুদ্ধাহৃত কুড়ান শেখ চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের মৃত দুভর শেখের ছেলে। তার মুক্তিযোদ্ধা কার্ড নং ১২০৫, রেজি নং- ১৯৪৩। । সে এখন আর নৌকার মাঝির  বইতে পারে না। সংসার জীবনে ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলেও একমাত্র  ছেলে এছাহক বর্তমানে মানসিক ভারসাম্যহীন। জমি জমা কিছুই নেই । উপজেলার টাংগন এলাকায় তাজুর বাড়িতে আশ্রয় পেয়েছে। সরকারী সহযোগীতা বলতে শুধু ভাতা পান তাছাড়া আর কিছুই পান না। যুদ্ধাহৃত কুড়ান শেখ এই প্রতিবেদককে জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর অনেক রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেন। কিন্তুু এমনি দুর্ভোগ যে, কিছু রাজাকার থেকে গেছে এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে । ফলে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে কষ্টের স্বীকার হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেও তারা তেমন কোন সুযোগ সুবিধা পাননি।  পেয়েছেন শুধু নয়ন ভরা জল,লাঞ্ছনা-বঞ্চনা। অপরদিকে রাজাকাররা শুধু এই দেশের সম্মান নষ্ট করেনি,করেছে আরও অনেক বড় অপরাধ। পাকবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে মা-বোনদের।  করেছে কতো নির্যাতন ও অমানবিক কর্মকান্ড। ফুলের মতো নিষ্পাপ পবিত্র শিশুদের মায়ের বুক থেকে ছিনিয়ে  নিয়ে পশুর মতো হত্যা করেছে। লাখ লাখ তাজা প্রানকে মাটিতে পুতেঁ রেখেছে। শত শত ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে ছারখার করে দিয়েছে। এ সব অমানবিক কর্মকান্ডের পিছনে সহযোগীতা করেছে এদেশের কিছু মুখোস ধারী শয়তানরা। আজ তাদেরকে আমরা এক নামে চিনি  জানি। তারা হলো রাজাকার-আলবদর ও আল সাম। আজ যুদ্ধ নেই ঠিকই কিন্তু এরা এখনো ধর্মের দোহায় দিয়ে চলছে রাজাকারের নিল নকশা। তাদের সেই স্বার্থ তারা এখনো বাস্তবায়ন করতে চাই। আজ তারা একদিকে নামি দামি  পোশাক পরে রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়, অন্যদিকে গড়েছে ধন-সম্পদের পাহাড়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পঙ্গু অসহায় অবস্থায় অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন যাপন করছেন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, আর কেউ বা গুনছেন মৃত্যুর প্রহর। তিনি আরোও জানান, মুক্তিযোদ্ধার পূর্বে থেকেই রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের সামনে পদ্মা নদীতে মাঝি গিড়ি করতাম। ৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধার সময় মুক্তারপুর ৪ নং সেক্টারের ক্যাপ্টিন আব্দুর রশিদ এর নেতৃত্তে ভারতে যায়। তখন কোন এলাকায় বিদুু্যুৎ ছিলনা সেই জন্য ভারত থেকে ২০ গ্যালন করে তেল এনে বিনা পয়সায় পার করে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করতাম। ১৩ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হলে পাকবাহিনীর ভয়ে ভারতে অবস্থান নিই। পরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের জন্য নৌকার মাঝির দায়িত্ব পালন করি। শত শত পরুষ মহিলা ছেলে মেয়ে ছোট বাচ্চা ছেলে জিবনের ভয়ে আত্মনাতৎ কান্না কাটি শুরু করে।  নদী পারাপারের সময় সমস্ত নদীর পানি যেন কান্নার সাথে মিশে যাচ্ছে। শুধু কান্না শুধু আত্মনাতৎ একটু আশ্রয়ের প্রান পন চেষ্টা। কান্নায় কান্নায় আকাশ বাতাস যেযন ভারি হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপার করার সময় ৩ জুলাই রাতে হঠাৎ পাকবাহিনীরা মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের নৌকার উপর আক্রমন চালাই।  পাকবাহিনীরা এলোপাতারী গুলি শুরু করে। গুলাগুলিতে কুড়ান শেখের বাম হাতে গুলি বৃদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সাইফুল ও রিয়াজ আফছার শরীরে গুলি লেগে পদ্মা নদীর ভিতরেই মারা যায়। প্রান ভয়ে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের নৌকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করি। চিকিৎসার ২২ দিন পড়ে গুলি বৃদ্ধ হাত কেটে ফেলতে হয়।
১৩ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হলে পাকবাহিনীর ভয়ে ভারতে অবস্থান নিই। পরবর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের জন্য নৌকার মাঝির দায়িত্ব পালন করি। শত শত পরুষ মহিলা ছেলে মেয়ে ছোট বাচ্চা ছেলে জিবনের ভয়ে আত্মনাতৎ কান্না কাটি শুরু করে।  নদী পারাপারের সময় সমস্ত নদীর পানি যেন কান্নার সাথে মিশে যাচ্ছে। শুধু কান্না শুধু আত্মনাতৎ একটু আশ্রয়ের প্রান পন চেষ্টা। কান্নায় কান্নায় আকাশ বাতাস যেযন ভারি হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপার করার সময় ৩ জুলাই রাতে হঠাৎ পাকবাহিনীরা মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের নৌকার উপর আক্রমন চালাই।  পাকবাহিনীরা এলোপাতারী গুলি শুরু করে। গুলাগুলিতে কুড়ান শেখের বাম হাতে গুলি বৃদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সাইফুল ও রিয়াজ আফছার শরীরে গুলি লেগে পদ্মা নদীর ভিতরেই মারা যায়। প্রান ভয়ে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের পারাপারের নৌকা নিয়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু করি। চিকিৎসার ২২ দিন পড়ে গুলি বৃদ্ধ হাত কেটে ফেলতে হয়।
Ruby