সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

কাশিয়ানীর পিঙ্গলীয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ১১জন ভূয়া নামধারী দাখিল পরীক্ষার্থীর চাঞ্চলকর তথ্য পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ :: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পিঙ্গলীয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে ১১জন ভূয়া নামধারী দাখিল পরীক্ষার্থীর চাঞ্চলকর তথ্য পাওয় গেছে। ইতিমধ্য উপজেলা প্রশাসন এসকল নামধারী দাখিল পরীক্ষার্থীর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করেছে। রবিবার পরীক্ষা চলাকালে এ সকল তথ্য বের হয়ে আসে। জানাগেছে, মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ ভূয়া নাম ঠিকানা দিয়ে অতিরিক্ত কিছু শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন করে রেখেছিল। পরবর্তীতে ওই নাম ঠিকানা দেখিয়ে ১১জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জন প্রতি নয় থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার সুযোগ করে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। পরে এ বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পিঙ্গলীয়া সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ ফলসী ডি.এস.এস দাখিল মাদ্রাসার ১১জন ভূয়া নামধারী পরীক্ষার্থীর সন্ধান পান। এসময় তিনি ওই ১১জন ভূয়া নামধারী পরীক্ষার্থীর নাম ঠিকান সংগ্রহ করেন। এর হলেন কাজী কিবরিয়ার ছেলে কাজী জুবায়ের, আব্দুর রাজ্জাক শেখের ছেলে সাজ্জাদ শেখ, শান্ত কাজীর ছেলে কাজী উজ্জল, কাজী আব্দুল আহাদের ছেলে আলামিন কাজী, তাশিয়ার শরীফের ছেলে রিয়াজ শরীফ, কাজী ওবায়দুল ইসলামের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম, মুন্সি আবুল কালামের ছেলে মুন্সি আজিজুল ইসলাম, তৈয়াবুর রহমানের ছেলে রনি শরীফ, সাহেব আলী মৃধার ছেলে রতন মৃধা, তুরুপ আলী খানের ছেলে আরাফাত মিলন ও কাজী কামরুজ্জামানের ছেলে মোঃ কাজী নাহীদ। এদের প্রকৃত নাম ঠিকানার সাথে রেজিষ্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রের নামের সাথে কোন মিল নেই বলে একটি সংশ্লি­ষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোঃ সাহিদুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যেহেতু ভূয়া নামে পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া ওই পরীক্ষার্থীরা ভূয়া নামে পরীক্ষা দিচ্ছে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা বোর্ডে লিখিত ভাবে জানানো হবে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান নিবে।
Ruby