রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী

undefined : বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে সময় কাটালেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি দেশ পরিচালনায় সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ চান।
শনিবার বিকেলে গণভবনের সবুজ চত্ত্বরে বসেছিল বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-সাহিত্যিক-সাংবাদিক-শিক্ষাবিদদের প্রীতি সম্মেলন। এই প্রীতি সম্মেলন ও আড্ডাকে জমিয়ে তুলতে ছিল গান ও কবিতার পরিবেশনা।
দেশের প্রথিতযশা শিল্পীরা গান ও কবিরা কবিতা আবৃত্তি করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিল্পী এবং কবিদের গান ও কবিতার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান।
প্রীতি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অধ্যাপক মোস্তফা মনোয়ার, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান, অধ্যাপক মোস্তফা নুরুল ইসলাম, প্রবীণ লোকসঙ্গীত শিল্পী মোস্তফা জামান আব্বাসী, অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, ড. শামসুজ্জামান খান, ফেরদৌসী মজুমদার, মিতা হক, সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে মাহবুবুল হক, গোলাম সারওয়ার, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবেদ খান, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ইমদাদুল হক মিলন, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ফরিদুর রেজা সাগর, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, শ্যামল দত্ত, নুরুল কবির, হাবিবুর রহমান মিলন, শাইখ সিরাজ, এনায়েতুর রহমান বাপ্পি, আবদুল জলিল ভূইয়া, হারুন হাবিব, শিল্পী ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, শুভ্র দেব, কুমার বিশ্বজিত, পার্থ বড়ুয়া, সামিনা চৌধুরী, পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, জুয়েল আইচ, লাকী ইনাম, হাসান ইমাম, লায়লা হাসান, নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আনিসুল হক, লিয়াকত আলী লাকী, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, স্থপতি রবিউল হোসাইন, মোস্তফা জব্বার, ড. কামাল আবদুস নাসের চৌধুরী, শিল্পী হাশেম খান, নায়ক সুব্রত, এটিএম শামসুজ্জামান, সুজিত মোস্তফা, মিজু আহমেদ, কবি মহাদেব সাহাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ।
বরেণ্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এইচ টি ইমাম, তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, পররষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, বেবী মওদুদ এমপি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিশেষ সহকারি (মিডিয়া) মাহবুবুল হক শাকিল প্রমুখ।
গণভবনের সবুজ চত্ত্বর ঘুরে ঘুরে প্রধানমন্ত্রী বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী অতিথিদের পিঠা-পায়েস, মুড়ি-মুড়কি, মোয়া, মিষ্টি, চটপটিসহ নানা বাংলা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করেন। গণভবনের এই প্রীতি সম্মেলন ও প্রাণোচ্ছ্বল আড্ডা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
বিকাল চারটা থেকেই বরেণ্য ব্যক্তিরা আসতে থাকেন গণভবনে। বিকাল পাঁচটার মধ্যেই বুদ্ধিজীবী-সাহিত্যিক-শিল্পী-শিক্ষাবিদ-সাংবাদিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে গণভবনের সবুজ চত্ত্বর। পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রীতি সম্মিলনীস্থলে এসে ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে মতবিনিময়, হাসি-ঠাট্টা আর কুশল বিনিময়ে মেতে ওঠেন।
এই প্রীতি সম্মেলনে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় সকলের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করি। দোয়া করবেন আমরা যেন জনগণের আকাঙ্খা পূরণ করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ বক্তৃতা দিতে আসিনি। প্রতিদিন এতো বক্তৃতা দিচ্ছি, আজ আর নয়। আজ শুধুই আড্ডা। বহুদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল বরেণ্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবো, একটি দিন প্রাণখুলে মতবিনিময় করব। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে তা হয়ে ওঠেনি।’
তিনি বলেন, ‘অনেকের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর দেখা, কথা বলে ভাল লাগলো। ইচ্ছা থাকলেও উপায় থাকে না। বিরোধী দলে থাকলে অনেক স্বাধীনতা থাকে। সরকারি প্রচণ্ড চাপ থাকে না। গণভবন জনগণের ভবন। আমি সকলের উপদেশ চাই, সহযোগিতা চাই। গুরুজনদের দোয়া চাই। যেন জনগণের কল্যাণে আমরা কাজ করে যেতে পারি।’
Ruby