আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: পৃথিবীতে ভালোবাসার কল্পকাহিনী আর বাস্তব ঘটনা ঘটছে অহরহ। এর মধ্যে কোন কোন ঘটনা মানুষের মনে স্থায়ী রুপ লাভ করে আজীবন। আবার ধর্মীয়ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েও অনেকে রেখেছেন ভালোবাসার ব্যতিক্রমী নিদর্শন। এদের মধ্যে সম্রাট শাহাজাহান ও মমতাজের ভালোবাসার গল্প যুগ যুগ ধরে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে আছে আমাদের মনে। তবে এসকল গল্প কোথাও যদি বলা যায়, গল্প শেষের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত সকলেই একবাক্যে বলে উঠবে এগুলো আগেই সম্ভব ছিল কিন্তু বর্তমানে নয়। এখন প্রতিনিয়তই খবরের কাগজে দাম্পত্য জীবনের ভালোবাসার নিদর্শনের খবরের বিপরীতে দেখা যায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্ত্রীর পরকিয়ায় স্বামী খুন, ছেলের হাতে মা খুন অথবা বাবার হাতে ছেলে খুন ইত্যাদি। কিন্তু ইংরেজি সাহিত্য স্বাক্ষী দেয়, কোন মানুষই বন্ধু ছাড়া বাঁচতে পারে না। বিশেষত: যখন সে কোন ভয়ানক সমস্যার সম্মুক্ষিণ হয়, যে কথা বাবা-মা বা কাছের কোন সাধারণ বন্ধুকেও বলা যায় না, ঠিক সেই মুহুর্তে একজন প্রকৃত বন্ধুই পারে এর সমাধান দিতে। আবার এও দেখা যায় যে, বন্ধু যদি শত্র“ হয়, তবে সেই শত্র“ হয় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। তাই বন্ধু নির্বাচনে অত্যন্ত সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের পরিচয় দিতে নির্দেশ দিয়েছে ইংরেজি সাহিত্য। তবে এই সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণের বালাই অতিক্রম করে আধুনিক চিন্তা-চেতনার মানুষ সাধারণ ভাবে বন্ধু হিসেবে বেছে নেয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ আপন সঙ্গীকে। কিন্তু তাতেও প্রতিনিয়তই যখন দেখা যাচ্ছে প্রতারণা আর ধ্বংসের খবর, ঠিক সেই মুহুর্তে আধুনিক খবরের কাগজের সকল ঘটনাকে ঢেকে নাটোরে ঘটেছে ব্যতিক্রমী এক দম্পতির মৃত্যু ঘটনা। ঘটনাটি জানাজানি হলে জেলার সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল দম্পতির বাড়িতে, অধিকাংশই ফেলেছে চোখের জল আর আশ্চার্যান্বি হয়েছে ঘটনাপ্রবাহে।
আজ থেকে প্রায় ৮৮ বছর আগে সদর উপজেলার দত্তপাড়া-লালমনিরহাট এলাকার মৃত মহিম প্রামানিকের ছেলে আহাদ আলী মুন্সি(১০৮)’র বিয়ে হয় একই উপজেলার ঢাকোপাড়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের ১২ বছরের কন্যা শামসুন্নাহারের(৯০)। দীর্ঘ এই সংসার জীবনে তারা লাভ করেন ৮ মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা হানিফ এন্টারপ্রাইজের ড্রাইভার আর ছোট ছেলে মাওলা সংসার দেখাশোনা করেন। বাল্যকালে আহাদ আলী মুন্সি আরবী দিক্ষায় দিক্ষিত হন। পরবর্তিতে স্থানীয় গোবিন্দপুর নিজ বাড়ির পাশের মসজিদের ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতিমধ্যেই তারা তাদের সকল ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে নাতি-নাতনীর খেলার সাথি হয়েছেন। প্রতিদিনই এই দম্পতি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। বাঁকি সময় পার করেন নাতি নাতনীদের সাথে। তবে সম্প্রতি বয়সের ভারে দ্জুনেই প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে যান। আবার সামান্য চিকিৎসাতেই মোটামুটি ভালো হন। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন আর নাতী নাতনীদের বকা-ঝকার কারণে খুব সাবধানে নিয়মের মধ্যেই চলতে হয় তাদের। তার পরও হঠাৎ হঠাৎ ই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার(১৪ মাচ,২০১২) সকাল ৬.৫০মিনিটের দিকে আহাদ আলী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ছেলে-নাতিদের সাথে বৃদ্ধা শামসুন্নাহার স্বামীকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১.৫০ মিনিটের দিকে আহাদ আলী পরপারে যাত্রা করেন। চোখের সামনে স্বামীর মৃত্যুটা যেন মাথায় বাজ পড়ার মত মনে হয় শামসুন্নাহারের কাছে। স্বামীর লাশের পাশেই বসে দেখতে পান অঝরে কাঁদতে থাকা ছেলে,মেয়ে আর নাতি-নাতনীদের বুকফাটা কান্না। বৃদ্ধা শামসুন্নাহার শুধু বলতে থাকেন’ তুমি এভাবে আমাকে রেখে চলে গেলে, এভাবে চলে গেলে!’ ঠোঁট দুটি নাড়তে নাড়তে অজ্ঞান হয়ে পরে যান স্বামীর পার্শ্বে। ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনীদের হঠাৎ উচ্চ চিৎকারে ছুটে আসেন ডাক্তার। নাড়ি পরীক্ষা করে বলে ওঠেন ’সরি, উনিও নেই’। উপস্থিতিদের বুকফাটা চিৎকারে হাসপাতালে উপস্থিত সকলেই ছুটে আসেন জোড়া লাশের পাশে। খবর পেয়ে বাড়ি থেকে অন্যান্য আত্মীয়রা এসে লাশদুটো নিয়ে বাড়ি ফিরেন। খবরটি মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জমা হন লাশদুইটি দেখতে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর জোড়া লাশের জানাযা নামায শেষে তাদের পাশাপাশি কবর দেয়া হয় গোরস্থানে।
আজ থেকে প্রায় ৮৮ বছর আগে সদর উপজেলার দত্তপাড়া-লালমনিরহাট এলাকার মৃত মহিম প্রামানিকের ছেলে আহাদ আলী মুন্সি(১০৮)’র বিয়ে হয় একই উপজেলার ঢাকোপাড়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের ১২ বছরের কন্যা শামসুন্নাহারের(৯০)। দীর্ঘ এই সংসার জীবনে তারা লাভ করেন ৮ মেয়ে ও দুই ছেলে। বড় ছেলে গোলাম মোস্তফা হানিফ এন্টারপ্রাইজের ড্রাইভার আর ছোট ছেলে মাওলা সংসার দেখাশোনা করেন। বাল্যকালে আহাদ আলী মুন্সি আরবী দিক্ষায় দিক্ষিত হন। পরবর্তিতে স্থানীয় গোবিন্দপুর নিজ বাড়ির পাশের মসজিদের ঈমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ইতিমধ্যেই তারা তাদের সকল ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে নাতি-নাতনীর খেলার সাথি হয়েছেন। প্রতিদিনই এই দম্পতি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করেন। বাঁকি সময় পার করেন নাতি নাতনীদের সাথে। তবে সম্প্রতি বয়সের ভারে দ্জুনেই প্রায়ই অসুস্থ্য হয়ে যান। আবার সামান্য চিকিৎসাতেই মোটামুটি ভালো হন। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন আর নাতী নাতনীদের বকা-ঝকার কারণে খুব সাবধানে নিয়মের মধ্যেই চলতে হয় তাদের। তার পরও হঠাৎ হঠাৎ ই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার(১৪ মাচ,২০১২) সকাল ৬.৫০মিনিটের দিকে আহাদ আলী অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ছেলে-নাতিদের সাথে বৃদ্ধা শামসুন্নাহার স্বামীকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১.৫০ মিনিটের দিকে আহাদ আলী পরপারে যাত্রা করেন। চোখের সামনে স্বামীর মৃত্যুটা যেন মাথায় বাজ পড়ার মত মনে হয় শামসুন্নাহারের কাছে। স্বামীর লাশের পাশেই বসে দেখতে পান অঝরে কাঁদতে থাকা ছেলে,মেয়ে আর নাতি-নাতনীদের বুকফাটা কান্না। বৃদ্ধা শামসুন্নাহার শুধু বলতে থাকেন’ তুমি এভাবে আমাকে রেখে চলে গেলে, এভাবে চলে গেলে!’ ঠোঁট দুটি নাড়তে নাড়তে অজ্ঞান হয়ে পরে যান স্বামীর পার্শ্বে। ছেলে মেয়ে আর নাতি নাতনীদের হঠাৎ উচ্চ চিৎকারে ছুটে আসেন ডাক্তার। নাড়ি পরীক্ষা করে বলে ওঠেন ’সরি, উনিও নেই’। উপস্থিতিদের বুকফাটা চিৎকারে হাসপাতালে উপস্থিত সকলেই ছুটে আসেন জোড়া লাশের পাশে। খবর পেয়ে বাড়ি থেকে অন্যান্য আত্মীয়রা এসে লাশদুটো নিয়ে বাড়ি ফিরেন। খবরটি মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ জমা হন লাশদুইটি দেখতে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর জোড়া লাশের জানাযা নামায শেষে তাদের পাশাপাশি কবর দেয়া হয় গোরস্থানে।
সিংড়ায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারন শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দেশে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তি প্রয়োগ ও সম্প্রসারন শীর্ষক এক দিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ হারুনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন,নাটোর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: আবু আব্দুল্লাহ । বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষনা পরিষদের অনুষ্ঠিত কর্মশালায় আলোচনা অংশ নেয়,প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আখতার হামিদ দেওয়ান,উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা: সেলিম খান,ডা: মাহবুবুর রহমান,শাহরিয়ার বাসার,ও সিংড়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মোল্লা মো: এমরান আলী রানা। এসময় উপস্থিত ছিলেন,দমদমা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাম্মাৎ রাশেদা পারভীন, , চলনবিল সাংস্কৃতিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু, অর্নিবান সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক করতোয়া সাংবাদিক এসএম রাজু আহমেদ,চলনবিল সাংবাদিক পরিষদের সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন অপূর্ব সহ শিক্ষক,কর্মকর্তা,ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ ।
