শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

নওগাঁর মান্দায় বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রায় ২৫ লাখ টাকা আত্মসাত

নওগাঁ সদর প্রতিনিধি :: নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী কর্তৃক বিদেশে পাঠানোর নাম করে প্রায় ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী নির্বাচনের পূর্বে এলাকায় সেবামুলক বিভিন্ন কাজ করায় মানুষের আস্থা অর্জন করে নির্বাচিত হয় । তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ভারতে ছিলেন। সেখানে বিয়ে করে ও সন্তান সন্ততি নিয়ে বসবাস করছিলেন। দীর্ঘদিন ভারতে থাকা ও সমাজের সেবামুলক কাজে আস্থার সুবাদে চেয়ারম্যান খয়বর আলী ও প্যানেল চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান দুজনে ওই ইউনিয়নের শিয়াটা, তুড়–ক বাড়ীয়া, ভোলাগাড়ী, কশব ও কুড়িয়াপাড়া সহ কয়েকটি গ্রামের ২৬/২৭ জন লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভারত হয়ে সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশে লোক পাঠানোর নাম করে ২৫ লাখ টাকা নেয়। টাকা গুলি কেহ কেহ জমি বিক্রি করে, চড়া সুদে আবার কেহ বা শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে টাকা জোগাড় করে দেয় বিদেশ যাওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একটি লোককেও বিদেশে পাঠাতে পারে নি। ফেব্র“য়ারী মাস ছিল লোক পাঠানোর শেষ তারিখ। তিনি কিছুদিন আগে ভারত থেকে আসার পর জানিয়ে দেন তিনি আর বিদেশে লোক পাঠাতে পারছেন না। তিনি যার মাধ্যমে পাঠাবেন সেই লোক তার দেয়া সমস্ত টাকা আত্মসাত করে পালিয়ে গেছে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও তিনি কবিরাজী করে বিভিন্ন ঝাড় ফুক দিয়ে অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে বলে এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বিদেশে যাওয়া লোকজনরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইমাজ উদ্দীন প্রাং এমপিকে অভিযোগ করেছেন। বিদেশ যাওয়া লোকজন  তার নিকট টাকা দাবী করলে তিনি বলেন, টাকা আপনাদের আমি বুঝে দিব তবে আমাকে সময় দিতে হবে।

এ ব্যাপারে কশব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী প্রাং মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভারত হয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি ১৫/১৬ লাখ টাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিদেশে লোক পাঠাতে না পারলেও আপনাদের কষ্টার্জিত টাকা আমি বুঝে দিব তবে আমাকে সময় দিতে হবে। কাহারও কোন টাকা আমি আত্মসাত করিনি, করবও না, করার ইচ্ছাও নেই। জনগন নির্বাচিত করে যে আমানত দিয়েছেন, তা আমি রক্ষা করব ইনশাল্লাহ।#
Ruby