শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১১

নাটক, বেতার এবং চলচ্চিত্রে কবি নজরুল ইসলাম

বাঘা নিউজ ডটকম, ৩ ডিসেম্বর : ১১ জৈষ্ঠ্য কবি নজরুল ইসলামের ১১১তম জন্মবার্ষিকী। এই জন্মবার্ষিকীতে আমরা তাকে স্মরণ করছি
ফ্লোরা সরকার ● ‘‘কি ভায়া! নিতান্তই ছাড়বে না? একদম এঁটেল মাটির মতো লেগে থাকবে? আরে ছোঃ! তুমি যে দেখছি চিটে গুড়ের চেয়েও চামচিটেল! তুমি যদিও হচ্ছ আমার এক ক্লাসের ইয়ার, তবুও সত্যি বলতে কি, আমার শেষ কথাগুলো বলতে কেমন যেন একটা অস্বস্তি বোধ হয়। কারণ খোদা আমায় পয়দা করবার সময় মস্ত একটা গলদ করে বসেছিলেন, কেন না চামড়াটা আমার করে দিলেন হাতির চেয়েও পুরু, আর প্রাণটা করে দিলেন কাদার চেয়েও নরম!’’
মাসিক (পরবর্তীতে সাপ্তাহিক) ‘সওগাত’-এর প্রথম বর্ষের সপ্তম সংখ্যায় (প্রকাশকাল ১৩২৬ বঙ্গাব্দ, জ্যৈষ্ঠ) কবি নজরুল ইসলামের প্রথম মুদ্রিত ছোট গল্প ‘বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী’ থেকে অংশটি তুলে ধরা হলো। কবিকে আমরা মূলত ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে জানলেও তার চিঠিপত্র এবং রচিত নাটক, গল্প-উপন্যাস একটু ভালো করে অভিনিবেশ করলে যে কোনো পাঠক তার ভেতরের সেই ‘নরম কাদার মন’-এর পরিচয় পেয়ে যাবেন মাঝে মাঝে। তবে শিল্পী-সাহিত্যিকদের তাদের যুগের বিবেচনায় এনে দেখলে তাদের সৃষ্টি-কর্মকে আরো স্পষ্ট করে অবলোকন এবং অনুধাবন করা যায়। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৮৯৯ সালের ২৪ মে (বঙ্গাব্দ ১৩০৬-এর ১১ জ্যৈষ্ঠ) বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে এবং মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট, ঢাকায়। ১৯১৯ থেকে প্রধানত তার প্রতিভার বিকাশ শুরু হয়, যা অব্যাহত গতিতে ১৯৪২ সালের জুলাই পর্যন্ত অটুট থাকে। কেননা তারপরই কবির অসুস্থতা তার সব সৃষ্টিশীলতাকে রুদ্ধ করে দেয়। নজরুলের সমকালে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা ঘটনার ঘনঘটা দেখা যায়। অখন্ড ভারত তখন ব্রিটিশ উপনিবেশের ছত্রছায়ায় থাকা ছাড়াও, বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং দু’দুটো বিশ্বযুদ্ধসহ উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের মতো ঘটনাগুলো ঘটে চলেছে। তার কর্মময় জীবনের ২৩ বছরের মধ্যে নজরুলের সঙ্গে জনগণের সংযোগ শুরু হয় প্রথমে প্রধানত পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তীতে বই-পুস্তক, মঞ্চ-নাটক, সভা-সমিতি, গ্রামোফোন, রেডিও এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একটি পরাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এসব কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে নিজের স্বাধীন মতামত প্রকাশ কতটা কষ্টসাধ্য তা যে কেউ অনুধাবন করতে পারে। তাই জেল খাটার পরেও তার প্রাণশক্তির এতটুকু পরিমাণ শক্তি কেউ তখন কেড়ে নিতে পারেনি। এই কারণে প্রধানত কবি এবং সঙ্গীতকার হওয়ার পরেও তাকে আমরা নাটক, বেতার এবং চলচ্চিত্রসহ শিল্পের প্রায় সব শাখায় বিচরণ করতে দেখি। অসামান্য অবদান রাখতে দেখি।
কলকাতায় তখন বায়োস্কোপ অর্থাৎ সিনেমা নির্মাণ শুরু হয়েছে। ১৯১৯-এ মুক্তি পায় প্রথম বাংলা পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক ছবি ‘বিল্বমঙ্গল’। সিনেমার অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে নাট্যমঞ্চে দর্শক সংখ্যা কমতে থাকে। অথচ এই সময়েই নাটকে নজরুলের উজ্জ্বল আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়। চুরুলিয়ায় কিশোর নজরুল বিভিন্ন পালা নাটক (যেমন চাষার সঙ, শকুনি বধ, মেঘনাধ বধ, কবি কালিদাস ইত্যাদি) রচনা করলেও পরিণত নজরুলের ‘ঝিলিমিলি’ নাটিকা ১৯২৬-এ ‘নওরোজে’ প্রকাশিত হয়। ‘ঝিলিমিলি’ মাত্র তিনটি দৃশ্যের ছোট নাটক হলেও এর কাহিনী গড়ে উঠেছে মুসলিম পরিবারের অহমিকাকে কেন্দ্র করে। প্রতীকধর্মী এই নাটকের গল্প বাস্তব জীবনকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। সেই সময়ে ইতিহাস এবং পুরাণ আশ্রয়ী নাটকের বহুলতার মাঝে নজরুলের এই নাটকটি ছিল বেশ ব্যতিক্রম। বিশেষ করে সেই সময়ে মুসলমান জীবননির্ভর নাটক ছিল অকল্পনীয়। তার ‘সেতুবন্ধ’ নাটকটিও বেশ উল্লেখযোগ্য। নাটকটি মূলত এক অংকের তিনটি দৃশ্য সংবলিত রূপক সাংকেতিক নাটক। যেখানে প্রকৃতি এবং মানুষের তৈরি যন্ত্রের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জড়শক্তির সংঘাত দেখানো হয়। নজরুল ধারণা করেছেন, প্রকৃতির শক্তিকে যন্ত্রশক্তির দ্বারা পরাভূত করতে গিয়ে মানুষের আবিষ্কার বারবার বুদ্ধির বিপর্যয় ডেকে এনেছে। তার সেই ধারণা যে খুব ভুল ছিল না, আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে বসে আমরা বেশ অনুভব করতে পারছি। ‘শিল্পী’ নাটিকার (এটাও মাত্র তিনটি দৃশ্য সংবলিত নাটক) প্রধান বৈশিষ্ট্য এই নাটকে নজরুল কোনো গান ব্যবহার করেননি। ‘শিল্পী’ নাটকের কাহিনী গড়ে উঠেছে একজন চিত্রশিল্পীকে কেন্দ্র করে। যেখানে আমরা একজন শিল্পীর জীবনের নানা দ্বন্দ্ব-সংঘাত গড়ে উঠতে দেখি। শিল্পীর কাছে পার্থিব প্রেমের চেয়ে মানস লোকের প্রেম অর্থাৎ যাদের জন্যে সে তার শিল্প-জীবন উৎসর্গ করেছে সেটাই তার কাছে বড় হয়ে যায়। একজন শিল্পী শিল্পের কাছে কতটা দায়বদ্ধ থাকতে হয় তা-ই এখানে তুলে ধরা হয়েছে। নজরুলের ‘আলেয়া’ নাটকটি একটি অপেরাধর্মী অর্থাৎ গীতিনাট্য, যা গ্রন্থাকারে ছাপা হয় ১৯৩০ সালের দিকে। এই নাটক প্রসঙ্গে অখিল নিয়োগী ‘নব কল্লোল’-এ ‘কবি নজরুল স্মৃতি’ লেখায় আমাদের একটা চমৎকার তথ্য দেন- ‘এক সন্ধ্যায় অভিনয় শুরু করার আগে হঠাৎ আবিষ্কার করা গেল কবির ভূমিকায় যিনি আছেন সেই জ্ঞান দত্ত অনুপস্থিত। খবর প্রবোধ গুহ (নাট্য নিকেতনের পরিচালক) মহাশয়ের কাছে গেল। অনেক টিকিট বিক্রি হয়েছে- এখন উপায়? কবির ভূমিকায় অনেকগুলো গান রয়েছে। কারো সাধ্যি নেই, এতগুলো গান গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে তোলে। তাহলে তো বিক্রির টাকা রিফান্ড দিতে হয়। প্রবোধ গুহ বললেন, কাজী, তুমিই কবির ভূমিকায় নেমে পড় তাছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি নে। কাজী দা অাঁতকে উত্তর দিলেন, কী সর্বনাশ? আমি?…’। কবি অাঁতকে উঠলেও শেষপর্যন্ত কবির ভূমিকায় কবি নজরুলই অভিনয় করেন এবং মঞ্চ মাতিয়েই তা করেন। আরেকটা তথ্য যা অবাক করে তা হলো নজরুলের বিখ্যাত ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ’ গান প্রসঙ্গে। তার অপ্রকাশিত নাটক ‘ঈদ’-এ এই গানটি ছিল যা ১৩৬৫ বঙ্গাব্দের ৭ বৈশাখ (১৯৫৮-র এপ্রিলের দিকে) তারিখে দৈনিক ইত্তেফাকের ঈদ সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। বিশেষ এই তথ্যটি  আবদুল কাদির তার সম্পাদিত নজরুল রচনাবলী, ৫ খন্ড (দ্বিতীয়ার্ধ্ব), ঢাকা, (১৯৮৪ খ্রি.)-এর মাধ্যমে জানা যায়। ১৯৪১-৪২ এর দিকে নজরুল অসুস্থ হওয়ার আগে ‘মদিনা’ নামে যে নাটকটি লেখেন পরবর্তী সময়ে তা নজরুল গবেষক আবদুল আজীজ আল আমানের চেষ্টায় উদ্ধারের পর ঢাকার ‘নজরুল ইনস্টিটিউট পত্রিকা’য় ছাপা হয়। এছাড়া ছোটদের জন্য নজরুল বেশকিছু নাটিকা লিখেছেন।
গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে যান্ত্রিক প্রচারের ক্রমপ্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বেতার যন্ত্রটির প্রসার ঘটে। ফলে রেডিও’র শ্রোতাসংখ্যা-বৃদ্ধি ঘটতে দেখা যায়। কলকাতায় ‘ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি’ নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির উদ্যোগে ১৯২৭ সালের ২৬ আগস্ট থেকে বেতার সম্প্রচার শুরু হয়, ঢাকায় বেতার কেন্দ্রের উদ্বোধন হয় ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ থেকে। শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক ও কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাণী প্রচারের মাধ্যমে ঢাকায় বেতারের অনুষ্ঠান শুরু হয়। ১৯৩২-এ কলকাতা বেতার থেকে মন্মথ রায়ের ‘মহুয়া’ নাটকটি প্রচারিত হয় এবং এই নাটকের গানগুলো ছিল নজরুলের রচনা। শুধু অসংখ্য গান রচনায় কবি নজরুল ইসলাম বেতারে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। গান রচনা ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ অংশগ্রহণেও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তাছাড়া শুধু কলকাতা বেতার কেন্দ্র নয়, ঢাকা বেতার থেকেও নজরুলের গান প্রচারিত হতো। ১৯৪০ সালের ১২ ডিসেম্বর ঢাকা বেতার কেন্দ্র থেকে নজরুলের পরিচালনায় তার রচিত গীতিবিচিত্র ‘পূর্বালী’ প্রচারিত হয়।
চলচ্চিত্র যখন অন্যতম একটি গুরুত্ব মাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে তখন গ্রামোফোন বা বেতারের মতো গভীর ও ব্যাপক না হলেও বেশকিছু ছবিতে নজরুলের উপস্থিতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো সংযুক্ততা লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ, সঙ্গীত রচয়িতা ছাড়াও সুর সংযোজনা, সঙ্গীত পরিচালনা, প্লেব্যাক সিঙ্গার, অভিনেতা এমনকি চিত্র পরিচালনার মতো কাজেও তিনি হাত দেন। ‘ধ্রুব’ (১৯৩৪), পাতালপুরী (১৯৩৫), বিদ্যাপতি (বাংলা ও হিন্দি, ১৯৩৮), গোরা (১৯৩৮)-সহ প্রায় ১৩/১৪টি ছবির সঙ্গে নজরুল যুক্ত ছিলেন। খন্ড সবাক চিত্র ‘নারী’-তে কবি আবৃত্তি করেন। তিরিশের দশকে বাঙালি মুসলমান সাহিত্য এবং সঙ্গীতে পশ্চাৎপদ থাকলেও কিছু কিছু পদচারণা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু অভিনয়, নাটক আর চলচ্চিত্রের মতো জায়গায় পদার্পণ একটি বিরল ঘটনা। নজরুল সেই বিরল ঘটনায় অনায়াসে তার বিচরণ শুরু করেন। শিল্পের প্রতি তার গভীর মমতাই এসব জায়গায় তাকে নিয়ে আসে। একজন শ্রেষ্ঠ কবি এবং সঙ্গীতকার হওয়া সত্ত্বেও শিল্পের অন্যান্য শাখায় তার অবাধ চলাচল রুদ্ধ হয়ে যায়নি। তার বহুমুখী প্রতিভার এই বিস্ফোরণ তখনকার সেই আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে দেখলে আমাদের আজও বিস্ময় জাগায়। সারা জীবন দারিদ্রে্যর সঙ্গে, পরাধীনতার সঙ্গে যুদ্ধ করে গেলেও কাজ তার থেমে থাকেনি। অফুরন্ত প্রাণশক্তি নিয়ে যেন এই শক্তিশালী কবির আবির্ভাব ঘটেছিল। তার অকাল অসুস্থতা তাকে কেড়ে না নিলে, হয়তো কবির সৃষ্টির আরো নব নব দিক উন্মোচিত হতো।
আমাদের দেশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক প্রয়াত আবদুল মান্নান সৈয়দ নজরুলের আগমনকে ঝড়ের মতো বলে আখ্যায়িত করেছেন (দৈনিক ভোরের কাগজ, ১৬ জানুয়ারি, ১৯৯৮)। তিনি যেন তার ঝড়ো জীবনযাপনে, তার যৌবনময় ডানায়, সৃজনশীলতার ঝাপটে তাজা হাওয়া বইয়ে দিয়েছিলেন শিল্পের সব শাখায়। তার অন্তরের গভীরেও সেই ঝড়ের বেগ আমরা বইতে দেখি। কবির একটি বিরল সাক্ষাৎকারে আমরা তা দেখতে পাই। সেই সাক্ষাৎকারের কয়েকটি লাইন দিয়ে কবির ১১১তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের এই শ্রদ্ধাঞ্জলির লেখাটি শেষ করব- ‘‘মানুষ সৃষ্টি হবেই – আমি বরাবর বলেছি – আসছে সেই অনাগত বিরাট পুরুষ – যার আগমনী ফুটছে আমার কণ্ঠে – তার মুখ দেখলে আমি চিনতে পারব। নদীতে নদীতে যেমন সংযোগ থাকে মানুষের চিন্তাধারাতেও তেমনি সংযোগ আছে। …পুরাতন কোহিনূর আজো সকল মণি-মাণিক্যের শীর্ষে। … আমি হুমায়ূন কবীরকে (অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন, ইতিহাস ও অর্থনীতিতে প্রথম হয়ে ১৯৩১-এ ভারতে ফিরে আসেন এবং সাহিত্য ও রাজনীতিতে বিশেষ অবদান রাখেন) বলেছিলাম, তুমি টর্চ হাতে করে সমাজের কাছে গেলে ওরা ভয় পাবে – মাটির প্রদীপ হাতে করে যাও। ওরা যাকে আপন ভাবতে পারে তাকেই করে বিশ্বাস – তার হাতেই ছেড়ে দেয় ওরা সবকিছু। মানুষের জীবনে সাধনার সংযোগ চাই – নতুবা সব কিছুই শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনের উৎস যেখানে সেখানে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে হবে…’’। বাংলাদেশের বর্তমান ক্রমবর্ধমান বহুধাবিভক্ত এই সমাজে আজ আমাদের সেই ‘সাধনার সংযোগের’ বড় প্রয়োজন। এই সংযোগ না হলে আমরা কখনোই আমাদের  একাত্মতা, সমগ্রতা এবং সর্বোপরি জীবনের উৎস খুঁজে পাব না। কবির এই কথাগুলো স্মরণে রেখে তাকে জানাই আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ্য।
Ruby