রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

বাগাতিপাড়ায় একই পরিবারে ৪ জন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত

বাঘা নিউজ ডটকম, আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) ১১ ডিসম্বের : বাগাতিপাড়ায় একই পরিবারের ৪জন সদস্য ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুই শিশু ও বাবা-মায়ের পরিবারের সকলেই এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শিশু বয়সেই মৃত্যু ঘটেছে একজনের। মৃত ওই শিশু ১বছর এক মাস বয়সে মারা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার লোকমান পুর গ্রামে।
আক্রান্ত পরিবার সুত্রে জানা যায়, পরিবারের প্রধান উপজেলার লোকমানপুরের মৃতঃ কফিল উদ্দিনের পুত্র মনিরুজ্জামান(৪২)। তিনি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরে চাকরি করেন। ১১ভাই বোনের মধ্যে মনিরুজ্জামান ৮ম সন্তান। তার বাবা একজন কৃষক ছিলেন। বিয়ের পর তার একটি পুত্র সন্তান হয়। জন্মের ১বছর ১মাসের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু তখনো তিনি বুঝতে পারেননি শিশু ব্লাড ক্যান্সারে মারা গেছেন। এরপর তার দ্বিতীয় পুত্র জন্ম হয়। পুত্রর নাম মোজাহিদ হোসেন জিম বাবু।  ৬ মাস বয়সে হঠাৎ করে তার গায়ে দলা বের হয়। ডাক্তারের কাছে গেলে ধরা পড়ে ব্লাড ক্যান্সার। মোজাহিদ হেমোফেলিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি মাসে তাকে ২ব্যাগ রক্ত ও ৮হাজার টাকার ইঞ্জেকশন দিতে হয়। তার বর্তমান বয়স১৫ বছর। সে লোকমানপুর  দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র। মোজাহিদের মাতা একই রোগে আক্রান্ত।  গত আগস্ট মাসের ৬ তারিখে হঠাৎ করে মনিরুজ্জামান অসুস্থ হয়ে পড়ে। এসময় তার মুখ ও গলা বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তারের কাছে গেলে ধরা পড়ে তারও ব্লাড ক্যান্সার লিকোমিয়া এল২। প্রত্যেক মাসে তাকে চিকিৎসা করতে হয়। গত ৩মাস ধরে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭নং ওয়ার্ডের ২৯নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রত্যেক মাসে তার নিজের চিকিৎসা ব্যায় হচ্ছে প্রায় ৬৫হাজার টাকা। তিনি তার সহায়সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা করছেন। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, এই অসুখ থেকে পুরোপুরি ভালো হতে হলে ব্রোন ম্যোরোজি পরিবহন করতে। যা সিঙ্গাপুরে সম্ভব। এতে খরচ হবে ৪০ থেকে ৫০ লাখ। যা সামান্য চাকরি করে তারপক্ষে চিকিৎসা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে তিনি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আহব্বান জানিয়েছেন। পাঠানোর ঠিকানা অগ্রণী ব্যাংক বাগাতিপাড়া শাখা হিসাব নং-৭৫৯৩। চিকিৎসাধীন মনিরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নম্বর ০১৭১৮-১৮৩৯৬৭।
Ruby