শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

চুয়াডাঙ্গাতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকপ বৃদ্ধি পেয়েছে

বাঘা নিউজ ডটকম, চুয়াডাঙ্গা ৩০ ডিসেম্বর : আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গাতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগের প্রকপ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মধ্যে সবই শিশু। গত ৫ দিনে  চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতলে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রন্ত হয়ে ৭৬ জন শিশু ভর্তি হয়েছে বলে সর্বশেষ খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগে আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা ২৭ জন ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন । শুক্রবার সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগে আক্রন্ত হয়ে সদর হাসপাতারে ভর্তি হয়েছে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি গ্রামের দশ মাস বয়সী সজল, গড়াইটুপি গ্রামের দেড়মাস বয়সী জ্যোতি, চিৎলা গ্রামের ১১ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ, শরিষাডাঙ্গা গ্রামের ১৯ দিনের রিয়া, গোপিনাথপুর গ্রামের রুমা(২), দেড় মাস বয়সী আসমানখালীর আয়েশা ও সাদিয়া(১), দলিয়ারপুর গ্রামের ৯ মাস বয়সী সোলাইমান ও ৭ মাস বয়সী হাড়োকান্দী গ্রামের শ্রাবনী। আর নিউমোনিয়া আক্রন্ত হয়ে ভর্তি আছে কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ৯ মাস বয়সী সুমাইয়া, আকন্দবাড়ীয়ার ৩ মাস বয়সী হোসনেয়ারা, আসমানখালী গ্রামের সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া বাবু, পুরাতন হাসপাতাল পাড়ার নাইম(৫), ভেমরুল্লার অনিক(৫) ও বাকা গ্রামের ৩ মাস বয়সী রাব্বি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা: মাহাবুর রহমান মিলন বলেন মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন ও কখনও ঠাণ্ডা আবার কখনও গরম আবহাওয়া অনুভূত হওয়ার কারনে এটা হচ্ছে আর ডায়রিয়া বিষয়টি মূলত রোটা ভাইরাস থেকে হচ্ছে। আর এটা সাধারনত হয় ঠাণ্ডার কারনে।
এ রোগ থেকে দুরে থাকতে  ইপিআই সব গুলো টিকা দিতে হবে, শিশুর বয়স ৬ মাস না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওঢাতে হবে। ঠাণ্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে সর্বদা গরম জায়গায় রাখতে হবে।
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
Ruby