বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১১

বিয়ের ৪ মাস পর সন্তান প্রসাব করায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে

বাঘা নিউজ ডটকম, জি,এম,মিন্টু, কেশবপুর (যশোর) ৭ ডিসেম্বার :  যশোরের কেশবপুরে বিয়ের ৪ মাস পর সন্তান প্রসাব করায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। শিশু সন্তানের পিতৃ পরিচয় পাওয়া গেলেও এক মাতববর রফাদফার মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা  দেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। এ গ্লানি মাথায় নিয়ে নববধু স্বামীর ঘর ছেড়ে মাতববরের হাওলায় শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরে বন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাচারই গ্রামে।
জানাগেছে, মনিরামপুরের কাশিপুর গ্রামের আববাস আলীর কন্যা রুবিয়া খাতুন পাচারই গ্রামের তার নানা বাবুর আলীর বাড়ি থেকে বড়েঙ্গা সম্মিলনী বিদ্যাপিঠে দশম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে আসছিল। পার্শ্ববর্তি পাথরা গ্রামের আববাস মোড়লের পুত্র অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্র ইব্রাহীম হোসেন তার সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে অবৈধ মেলামেশা করতে থাকে। অবৈধ মেলামেশা করা অবস্থায় স্থানীয় লোকজন রুবিয়া ও ইব্রাহীম হোসেনকে একাধিক বার ধরে ফেলে। অবৈধ মেলামেশার ফলে রুরিয়ার গর্ভে একটি সন্তান আসে। ঘটনা আড়াল করে রুবিয়ার অভিভাবকরা মেয়েকে গত ৪ মাস আগে উপজেলার বাউশলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেয়। অন্তঃসত্তা বুঝতে পেরে স্বামী রুবিয়াকে তার নানার বাড়ি পাচারই গ্রামে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে সে দীর্ঘদিন অন্তরীণ অবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর রুবিয়া একটি কন্যা সন্তান প্রসব করে। কন্যা সন্তানটিকে এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত নারী-পুরুষ ওই বাড়িতে ভীড় করছে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি হলে ঘটনাটি সামাল দিতে ওই গ্রামের মাতববর কলাগাছি দাখিল মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক আজিজুর রহমান ৫০ হাজার টাকার মিশনর নিয়ে মেয়েটিকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে এবং নবজাতককে নিঃসন্তান দম্পত্তির কাছে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে রুবিয়ার কাছে জানতে চাইলে, আমি ইব্রাহিমের সাথে বিয়ে করে সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। ইব্রাহীমের সাথে রুবিয়ার বিয়ে না হলে এলাকায় ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসি।
Ruby