শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

শেরপুরে মাদক বিক্রেতার মারপিটে গুরুতর আহত প্রতিবাদকারীর মায়ের মাদক বিক্রি বন্ধে দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

দীপক সরকার,বগুড়া থেকে :: বগুড়ার শেরপুর পৌরশহরের টাউন কলোনী এলাকায় এক মহিলা নেত্রীর ছত্রছায়ায় স্বামী পরিত্যক্তা জনৈকা আয়েশা খাতুন(রতœার মা) বলে খ্যাত মহিলার মাদক বিক্রির ফলে পুরো শহরের যুব সমাজ ধ্বংসের  দিকে যাচ্ছে। মাদকের অবাধ বিক্রি বন্ধে সচেতন এলাকাবাসী গত ৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় প্রতিবাদ করলে মাদক বিক্রেতা ও তার মদদদাতার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে এক প্রতিবাদকারীর মা ও ভাইকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে।  এঘটনায় মাদক বিক্রি বন্ধে মাদক ব্যবসায়ী ও মদদদাতাদের বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রায় অর্ধশত সচেতন এলাকাবাসী।
শেরপুর পৌর শহরের টাউনকলোনী এলাকার সচেতন এলাকাবাসী পক্ষে বাবলু সরকারের প্রতিবাদী  ছেলে সামছুল আরেফিন ইমন মাদক বিক্রি বন্ধে সংবাদ সম্মেলনে তার লিখিত বক্তব্যে বলেন- টাউন কলোনী এলাকায় এক স্বামী পরিত্যক্তা আয়েশা খাতুন(রতœার মা) বলে পরিচিত মহিলা দীর্ঘদিন ধরে ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক ব্যবসা করে আসছে। শান্তি প্রিয় এলাকার মধ্যে অবাধে মাদক ব্যবসা কোন সাধারন মানুষের জন্য কাম্য নয়। এলাকায় মাদকের ভয়াবহতা রোধে পৌর মেয়র, কাউন্সিলর ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে অনেকবার মৌখিক অভিযোগ করি। তারপরেও মাদক বিক্রি বন্ধ না হওয়ায় গত প্রায় ১৫ দিন আগে স্থানীয় এলাকাবাসী জনৈকা মাদক বিক্রেতা রতœার মা ও খালাকে ফেন্সিডিলসহ টাউন সাব-ইন্সপেক্টরের কাছে সোপর্দ করলে আর কোনদিন মাদক বিক্রি করবে না অঙ্গীকার দিয়ে ছাড় পায় মাদক বিক্রেতারা। তার পরেও মাদক বিক্রেতারা দেদারচ্ছে  ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের ব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ড করে আসছে। স্থানীয় আব্দুস সালামের বাড়ী ভাড়া নিয়ে মাদক বিক্রেতা আশেয়া খাতুন(রতœার মা) অবাধে বিক্রি করাকালে প্রতিনিয়তই খদ্দেরদের হৈ-চৈ এলাকাবাসীর মত আমার কানেও আসে। এর ধারাবাহিকতায় একদল মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের অনৈতিক কর্মকান্ডের হৈ-চৈ রত অবস্থায় গত ৬ ফেব্রুয়ারী রাতে আমার ছোট ভাই সুমন ও রঞ্জু  ওই বাড়িতে গিয়ে শান্ত থাকার কথা বলায় মাদকসেবীরা কিলঘুষি মেরে চলে যায়। আমি ব্যবসায়িক কাজ থেকে বাড়িতে এসে বিস্তারিত শুনে ওই মাদক বিক্রেতা রতœার মার কাছে উক্ত ঘটনা জানতে এবং মাদক বিক্রি বন্ধে প্রতিবাদ করায় হঠাৎ মাদক বিক্রেতার ঘর থেকে বের হয়ে এসে এলাকার নেত্রী বলে পরিচিত সালমা ইসলাম শেফা আমার উদ্দেশ্যে বলেন,‘‘ তুই এলাকায় কথা বলার কে? আর তুই মাদক ব্যবসা বন্ধ করার কে? এলাকার যত সমস্যা আমি বুঝবো। স্থানীয় প্রশাসন আমার স্বামী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম দেখবে! তুই কে? তাদের আচরণ মারমুখী হওয়ায় আমি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের পুরো ঘটনাটি জানাই। এর প্রেক্ষিতে একই দিন(৬ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ভাই সুমন কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে ওই মাদক বিক্রেতার ভাড়াটে বাসার সামনে ওৎ পেতে থাকা  মাদক বিক্রির মদদদাতা বলে পরিচিত মহিলা নেত্রী  সালমা ইসলাম শেফা ও আয়েশা খাতুন(রতœার মা) তার বড় মেয়ে নার্গিস মিলে  সুমনকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে সুমনের চিৎকারে আমার মা মনোয়ারা বেগম এবং ছোটভাই শিবলু এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও বেদম মারপিট করে। এতে আমার মা মনোয়ারা বেগম মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় বর্মন ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে তিনি প্রায় ২৫ ঘন্টা অক্সিজেনরত অবস্থায় অচেতন ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, মাদক বিক্রেতা ও তাদের প্রভাবশালী মদদদাতা বাহিনীর হাতে আমরা মারপিটে আহত হলেও  উল্টো তাদেরই দেয়া থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ দফায় দফায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী ইমন(আমার) পরিবারের সদস্যদের অহেতুক হয়রানী করে আসছে। যেখানে মাদক বিক্রি রোধে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, স্থানীয় প্রশাসনসহ সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ সোচ্চার  ও বদ্ধ পরিকর।  সেখানে মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে  দেশের যুবসমাজকে সুপথে ফিরিয়ে আনতে যখনই সচেতন যুবকরা প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠে, তখনি এমন মহিলা নেত্রী সালমা ইসলাম শেফা, তার স্বামী কথিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের মদদে মাসিক মোটা অংকের অর্থ উৎকোচের বিনিময়ে আয়েশা খাতুন(রতœার মা)মত সমাজবিরোধীদের  মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের মত ঘৃণ্যতম পেশা চালিয়ে যেতে সাহায্য করছে। মাদক বিক্রেতা ও মদদদাতা এবং পৃষ্টপোষকদের নিজস্ব বাহিনীদের দ্বারা মাদক বিক্রি বন্ধে প্রতিবাদকারী সচেতন এলাকাবাসীদের মারপিট ও উল্টো থানায় অভিযোগ দিয়ে পুলিশী হয়রানীর হাত থেকে রক্ষা পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী টাউন কলোনী এলাকাবাসী ও সচেতন যুব সমাজ । সংবাদ সম্মেলনে প্রায় অর্ধশত এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
Ruby