শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

পুঠিয়ায় অয়েল পাম চাষে সফলতা পেয়েছে জামরুল ও কাদের

undefined
শেখ রেজাউল ইসলাম লিটন :: রাজশাহীর পুঠিয়ায় অয়েল পাম চাষে সফলতা পেয়েছে দুই জন পাম চাষী। উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়া গ্রামের জামরুল ও কাদের তাদের প্রায় দশ কাঁঠা জমিতে পরিক্ষা মূলক ভাবে পাম চারা গাছ লাগায় । এই বছর পাম চারা গাছে পাম ফল আসে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে পাম গাছের গোড়াতে মাটির কাছাকাছি জায়গায় জামের মত দেখতে মাপ ফল গুলি ধরে আছে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে শত শত মানুষ পাম গাছ গুলি দেখতে ভির জমাচ্ছে জামরুল ও কাদেরের পাম বাগানে।
পাম চাষী জামরুল ও কাদের জানায়,  গত তিন বছর আগে পুঠিয়ার অলস্কার নার্সারী থেকে পাম চারা কিনে নিয়ে রোপন করি। এবং  এবছর সব পাম গাছে ফল এসেছে। তবে পাম তেল উৎপাদনে পদ্ধতি আমাদের জানানাই। উৎপাদন পদ্ধতি পাওয়াগেল বা কৃষি অফিস থেকে আমাদের সহযোগিত করলে আমরা আর ব্যপক জমিতে পাম চাষ করতে উৎসাহীত হব। এবং এলাকার আরও কৃষকেরা পাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, প্রধান খাদ্য শস্যের নিরাপত্তাহীনাতর পাশাপাশি বর্তমানে ভোজ্য তেলের নিরাপত্তাহীনতা দেশের জন্য রড় সমস্যা। ভোজ্য তেলের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় দিনে দিনে খাপ খাওয়াতে না পারায় বাংলাদেশের বৈদেশিক আয়ের একটি বড় অংশ প্রতি বৎসর ভোজ্য তেল আমদানিতে ব্যয় হাচ্ছে। ভোজ্য তেলের চাহিদা পুরন ও বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ে বাংলাদেশে অয়েল পামের চায় একটি উলে¬খ যোগ্য ভূমিাক রাখতে পারে। ২৫০-৩০০ সে. তাপমাত্রা এবং ৮০-৯০ শতাংশ আদ্রতা অয়েল পাম চাষের জন্য উপযুক্ত যা দেশে বিরজমান। যে খানে কম পক্ষে ৫-৭ ঘন্টা সরাসরি সূর্যালোক পড়ে সেখানে অয়েল পাম ভাল হয়। এ দিকে আমাদেও দেশের সূর্যালোক ৭-৮ ঘন্টা যা অয়েল পামের চাষের চাহিদার চেয়ে বেশী। বাংলাদেশের সর্বত্রই অয়েল পামের চায় করা সম্ভব। সুনিষ্কাশিত প্রায় সব ধরনের মাটিতে অয়েল পাম চাষে সম্ভব। উচু সব জমিতেই অয়েল পাম চায় করা যায়। বন্যার পানি আসে কিন্তু বেশি দিন থাকেনা এমন জমিতেও অয়েল পাম চায় হয়। জমি ব্যবহার দক্ষতা এবং উৎপাদন ক্ষমতার দিক দিয়ে পৃথিবীর সব ধননের তেল জাতীয় শস্যেও (সয়াবিন, সরিষা, তিল, তিষি, সর্যমূখী ইত্যাদি ) মধ্যে অয়েল পামে ৪ গুন বেষি তেল বিদ্যমান। আমাদের দেশে চাষকৃত অয়েল পামে ৬০শতাংশ পাম অয়েল আছে। অয়েল পাম একটি এনার্জি এফিসিয়েন্ট ফসল। চাষ ও প্রক্রিয়াজাত করনে সার, বালাইনাশক, ফসলি জ্বালানির ব্যবহার তুলনা মূলক কম হয়। অয়েল পাম গাছ রোপনের তৃতীয় বছর থেকে ফল দেয়া শুরু করে ২৫ বছর পর্যন্ত লাভ জনক ফলন দেয়। প্রতি হেক্টর জমিতে সর্বোচ ১০টন পাম অয়েল বছরে উৎপাদিত হয়। অয়েল পাম যেহেতু একটি পাম জাতীয় গাছ তাই অয়েল পাম  চাষ অন্য ফসলের সংগে খাদ্য উৎপাদন সূর্যালোক ইত্যাদির সংগে প্রতিযোগিতা কারে না। উচু জমির আইল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পতিত জমি, রাস্তার দু’পাশ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পতিত জমি নির্বাচন করা যায়। চাষ যোগ্য জাতের মধ্যে ডুরা, টেনোরা, এবং পিসিফেরা, তবে টেনোরা জাতে বেশী চাষ হয়। অয়েল পাম গাছ ৬০-৮০ ফুট লম্বা হয় কিন্তু ৩০ ফুট লম্বা পর্যন্ত চাষ যোগ্য। আমাদের দেশীয় প্রণালীতে পাম অয়েল সবুজে সংগ্রহ করা যায়, একটি পানির পাত্রে পাকা পাম ফল সিদ্ধ করে হাত দ্বারা নিগ্রানো/ চিপন দিলে রস বাহির হয়। সেই রসে পানি মিশ্রিত থাকে,এই জন্য পানি মিশ্রিত তেল পাতিলে জ্বাল দিলে পানি বাস্প হয়ে চলে যায় তার পর বোতল জাত করে রান্নার কাজে ব্যবহার করা যায়। এই তেল শ্বাদ যুক্ত এবং গন্ধহীন।
Ruby