বুধবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

গোপালগঞ্জে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর প্রায় ১৬ হাজার কর্মী বেতন আবারও বন্ধ হয়ে গেছে

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ :: গোপালগঞ্জে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচীর প্রায় ১৬ হাজার ৭’শ ৪জন কর্মী বেতন আবারও বন্ধ হয়ে গেছে। গত দু’মাস ধরে তারা পাচ্ছে না। ফলে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হচ্ছে। পর পর দু’মাসের বেতন না পেয়ে তারা নানা দুশ্চিন্তার মধ্যে সময় পার করছে বলে জানিছেন তাদের অনেকেই। স্বাভাবিক কারণেই পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে পড়া এসব কর্মীরা হয়ে পড়ছে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ। অনেকেই চলছেন ধার দেনা করে। এনএসপি’র আওতায় আসার আগে পরিবারের প্রতি তেমন কোন দায়িত্ব ছিলনা; কিন্তু এনএসপি’র প্রশিক্ষন নিয়ে সংযুক্তির পরে প্রত্যেকের সংসারেই দায়িত্ব-কর্তব্য বেড়ে গেছে পূর্বের চেয়ে অনেকগুণ। এর আগে টানা তিনমাস বেতন বন্ধ থাকার পর অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের গত জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে পেলেও জানুযারী ও ফেব্র“য়ারীর বেতন এখনও পাননি এবস কর্মীরা।

গোপালগঞ্জে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী’র সমন্বয়কারী কর্তৃপক্ষ জেলা যুব-উন্নয়ন অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, জেলায় এ পর্যন্ত চারটি ব্যাচে ১৬ হাজার ৭’শ ৪ জন বেকার যুব ও যুব মহিলাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদেরকে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন দপ্তরে সংযুক্তি দেয়া হয়েছে। সেসকল কর্মস্থলে তারা গুরুত্বের সঙ্গে তাদের দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। কিন্তু জানুয়ারী ফেব্র“য়ারী মিলে এনএসপি কর্মীদের বেতন বাকী পড়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা। এখনো এ টাকা না পাওয়ায় তাদেরকে বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ভুক্তভোগীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বেতন না পেয়ে অফিসে যাওয়া-আসার খরচ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এনএসপি’র কার্যক্রমে মাঝেমধ্যেই বেতন নিয়ে এধরণের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারী অফিসের বেতন-ভাতা প্রতিমাসে যথাসময়ে পেলেও  এনএসপি’র কর্মীরা মাসের বেতন মাসে পাননা, চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হয় কবে নাগাদ বেতন পাবার খবর আসবে। বেতন না পেলে অনেকেরই আবার অন্যের কাছে হাত পাততে হবে অফিসে যাবার যাতায়াত ভাড়ার জন্য। কারো কারোর পক্ষে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়াটাই দুষ্কর হয়ে পড়বে।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মোঃ নুরুল ইসলাম বলেছেন, ইতিপুর্বেও কর্মীদের অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের বেতনাদি বকেয়া পড়েছিল। তা জানুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে  একসাথে তিন মাসের বেতন দেওয়া হয়েছে। আবার জানুয়ারী ও ফেব্র“য়ারী মাসের বেতন বাকি পড়েছে। তা চেয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই অর্থ-মন্ত্রনালয় অর্থ ছাড় করবে এবং এসব বেতনাদি কর্মীদের হাতে পৌঁছে দেয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Ruby