শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আত্মহত্যা করে ভালোবাসার ইতি টানলো শারমিন !


undefinedবাঘা নিউজ ডটকম :: ভালোবেসেই ঘর বেঁধেছিল ওরা। সুখের সংসার সাজাতে চেয়েছিল। স্বপ্ন ছিল অনেক। কিন্তু সামান্য কথা কাটাকাটির কারণে অভিমান করে ভালোবাসার মানুষটি আত্মহত্যা করবে এটা কল্পনাও করতে পারেনি নাদিম হাসান (২২)। স্ত্রী শারমিনের (১৯) এভাবে চলে যাওয়ায় বারবার বিলাপ করছিল সে। অভিমানী শারমিনের আত্মহত্যার এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর : ০৩, তারিখ : ০৯-০২-১২।
নাহিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়,তাদের বিয়ে হয়েছে মাত্র দেড় বছর। এর আগে তিনবছর শারমিনের সঙ্গে তার প্রেম ছিল। নাহিদদের বাসা ৩৫/এফ, দায়রাশরীফ আজিমপুরে। শারমিনের বাবার নাম শামসুল হুদা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অফিসে চাকরি করেন। তার বাসা ৬/এফ স্টাফ কোয়ার্টার আজিমপুর। নাহিদের বড় ভাইয়ের একটি ভিডিও দোকান ছিল শারমিনদের বাসার দেয়াল ঘেঁষে। দোকান থেকেই শারমিনদের জানালা দেখা যেত। ওই জানালা থেকেই শারমিনকে দেখে নাহিদ।এরপর পরিচয়। অতঃপর ভালোবাসা। বছর দেড়েক আগে তারা দু’জন গোপনে বিয়ে করে। ধীরে ধীরে শারমিনের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। তারা এ বিয়ে মেনেও নেয়। কিন্তু নাহিদের পরিবার প্রথমে মানতে চায় না। পরবর্তী সময়ে উভয়পক্ষ মেনে নিলে এ বছরই অনুষ্ঠান করে শারমিনকে তুলে দেয়ার কথা হয়। এর মধ্যে নাহিদ বাবা-মাকে না জানিয়ে প্রায়ই গোপনে শারমিনদের বাসায় রাত কাটাত। গত বৃহস্পতিবারও নাহিদ শারমিনদের বাসায় ছিল।
সকালে নাস্তার টেবিলে শারমিনের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এরপর নাহিদ বাসা থেকে বের হয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিউমার্কেটে চলে যায়। দুপুর আড়াইটার দিকে শারমিনের ছোট বোন মাসুদা ফোন করে নাহিদকে জানায়, শারমিন এখনো রুমের দরজা বন্ধ করে আছে। একাধিকবার ডাকার পরও দরজা খুলছে না। নাহিদ তাৎক্ষণিক বাসায় চলে যায়। এরপর ডাকাডাকি করে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে, শারমিন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বেঁধে ঝুলে আছে। নাহিদ তাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।লালবাগ থানার এসআই কামারুজ্জামান সুরতহাল প্রতিবেদনে লিখেছেন, নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। আলাপকালে কামারুজ্জামান অপরাধকণ্ঠ’কে জানান, ধারণা করা হচ্ছে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে শারমিন। তবু মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
নিহত শারমিনের বাবা শামসুল হুদা জানান, তার মেয়ে শারমিন প্রচন্ড জেদি এবং অভিমানী। সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। শারমিনের স্বামী নাহিদ জানায়, সামান্য কথা কাটাকাটির কারণে সে আত্মহত্যা করবে এটা সে কল্পনাও করতে পারেনি।
Ruby