সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

গোপালগঞ্জে এসএসসির পরীক্ষার উত্তরপত্র আগে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত -১০, গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক অবরোধ; ৫টি গাড়ী ভাংচুর


বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ থেকে :: গোপালগঞ্জে এসএসসির পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার নৈবেত্তির প্রশ্নের উত্তরপত্র ১৫মিনিট আগে নেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। এ প্রতিবাদে পরীক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক ২ ঘন্টা অবরোধ ও পুলিশের গাড়ীসহ ৫টি গাড়ী ভাংচুর করে। আজ রবিবার বেলা ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ রবিবার ছিল এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের ১৫ মিনিট পর নৈবেত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু সময় অনুযায়ী ১৫ মিনিট আগে উত্তর পত্র নিয়ে নেয় হলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা। এসময় পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্র দিতে না চাইলে শিক্ষকদের সাথে কথা কাটাকটি হয়। এর জের ধরে পরীক্ষার্থীরা স্কুলের সমানে বিক্ষোভ করেল পুলিশ এসে বাঁধা দেয়। এতে পুলিশের সাথে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পরীক্ষাথীরা পুলিশকে লক্ষ্য ও পরীক্ষা কেন্দ্রে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ২টি পিকাপসহ ৫টি গাড়ী ভাংচুর করে। এঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনিত হয়ে। আশপাশের সকল দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার তিন পুলিশসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়। এর মধ্যে দুই পুলিশসহ ৫জনকে গোপালগঞ্জ সদর হাসাপালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এসময় উত্তেজিত পরীক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়ক প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে। পরে এডিসি (শিক্ষা) মতিউর রহমান, এডিসি (রাজস্ব) মাহমুদ হোসেন ও সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ সাখাওয়াত হসেন ঘটনাস্থলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিলে পরীক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। তবে পরীক্ষার্থীরা হল সুপার মনিরুল ইসলাম ও শিক্ষক আজাহার আলীকে সরানোর দাবীতে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে মিছিলটি জেলা প্রশাসকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এঘটনায় সরকারী বিনাপানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে একটি সভা বসেছে। তবে এ রিপোর্ট রেখা পর্যন্ত ওই সভার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানা যায়নি।

পরীক্ষার্থীরা অভেযোগ করে জানান, পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার নৈবেত্তিক প্রশ্ন পত্রের সময় ৩৫ মিনিট। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন দেওয়া ১৫ মিনিট পর। কিন্তু শিক্ষকেরা আমাদের ওই ১৫ মিনিট সময় না দিয়ে উত্তর পত্র নিতে থাকে। এসময় আমরা শিক্ষকদের উত্তর পত্র না দিয়ে জানাতে চাইলে তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের মারধর করা হয়।
হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক আজাহার আলী জানান, পরীক্ষার্থীরা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা। আমরা সময় মত প্রশ্নপত্র দিয়েছে এবং সময় শেষ হবার সাথে সাথে নিতে থাকি। এসময় পরীক্ষার্থীরা আমরা উপর হামলা করতে আসে। অন্যান্য শিক্ষরা এসে আমাকে উদ্ধার করে।

হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার্থীদের সঠিক সময়ে প্রশ্ন পত্র দেওয়া হয়েছে। তবে হল রুমের শিক্ষাকেরা ছাত্রদের গালিগালাজ করেছে কি না তা আমি জানিনা। 
Ruby