মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নওগাঁ আম-কাঁঠালের গাছে এসেছে বিপুল পরিমাণ মুকুল ও মুচি

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি  :: নওগাঁয় চলতি মৌসুমে আম এবং কাঁঠালের গাছে বিপুল পরিমাণ মুকুল ও মুচি এসেছে। আম এবং কাঁঠাল বাগানের মালিকরা ভাল ফলনের আশায় এসব গাছ পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না এলে এবার আম ও কাঁঠালের ভাল ফলন আসবে বলে আশা করছেন বাগান মালিকরা। আম গাছে মুকুল এবং কাঁঠাল গাছে মুচি আসার পর থেকে এ এলাকায় এখন পর্যন্ত বড় রকমের ঝড় না হওয়ায় স্বস্তিতে আছেন বাগান মালিকরা। প্রকৃতিতে রোদের তীব্রতা থাকায় আম-কাঁঠালের গাছগুলো রোগবালাইয়ের হাত থেকে এখন রয়েছে সুরক্ষিত। প্রকৃতির তীব্র রোদ্র আশির্বাদ হওয়ায় চাষীরা গাছ ভরা আম-কাঁঠাল দেখার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছে। এ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ছোটবড় শতাধিক আম ও কাঁঠাল বাগান গড়ে উঠেছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত পল্লীর বিভিন্ন মাঠ এবং রাস্তাঘাটের পাশে ছড়িয়ে রয়েছে অগণিত আম এবং কাঁঠাল গাছ। এসব গাছের আম-কাঁঠালেই স্থানীয় প্রয়োজন মেটাসহ বিপুল পরিমাণ আম-কাঁঠাল এখানকার হাটবাজার থেকে চলে যায় বিভিন্ন জেলায়। #
গানই এখন জীবন জীবিকার পথ খুলে দিয়েছে 
বাউল শিল্পী বিরেন পাগলা ও লাল ভানুর 
মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি  ::  শখ করে শেখা গানই এখন জীবন জীবিকার পথ খুলে দিয়েছে বাউল শিল্পী বিরেন পাগলা ও লাল ভানুর। গানই এখন ওদের নেশা ও পেশা। আধুনিকতা ও ব্যান্ড সংগীতের এই যুগেও শেকর সন্ধানী লালন, পাঞ্জুশাহ, দেহতত্ত্ব ও পালা গান গেয়ে সংসার চললে ওদের। বিরেন পাগলা ও লাল ভানু জুটি বেঁধে দীর্ঘদিন ধরে এসব গান গেয়ে এলাকায় ব্যপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন গ্রমীণ উৎসব ও পুজা পার্বনে এদের ডাক পরে গান গাওয়ার জন্য। একটি অনুষ্ঠানে এক রাত গান গেয়ে এ জুটি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বিরেন ৩৫ বছর আগে শখ করে ওস্তাদ নূর মোহাম্মদের কাছে  বাউল গান শেখেন। গান শেখার পর থেকেই শখ করে বিভিন্ন স্থানে গান গাওয়া শুরু করলেও এই গানই এখন তার পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। গান গেয়েই স্ত্রী, দু'ছেলে ও দু'মেয়ে নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন বিরেন পাগলা। বাউল শিল্পী লাল ভানুর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের গাজিপুরে। স্বামীর অনুপ্রেরনায়  বিরেন পাগলার কাছে গান শেখেন লাল ভানু। স্বামী মারা যাবার পর সংসারের হাল ধরতে ওস্তাদ বিরেনের সাথে জুটি বেঁধে গান গাওয়া শুরু করেন লাল ভানু। এখন গান গেয়েই মা, ভাই ও বোন সহ ৭ সদস্যের পরিবার চালাচ্ছেন লাল ভানু। গাজিপুর গ্রামের গানের এক আসরে বাউল শিল্পী বিরেন পাগলা ও লাল ভানু জানান গান গেয়ে মোটামুটি ভাল ভাবেই চলছে তাদের সংসার। গাজিপুর গ্রামের এক গানের আসরে বিরেন পাগলা ও লাল ভানু জানান, টেলিভিশনে গান গাওয়ার খুব ইচ্ছা ওদের।
Ruby