রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

নওগাঁর নদীগুলো শুকিয়ে গেছে নৌপথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ

মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: গ্রীষ্মকাল না আসতেই নওগাঁর ছোট যমুনা, আত্রাই আর ফকিরনী নদীর পানি শুকিয়ে গেছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে এক সময়ের খরস্রোতা নদীগুলোতে নৌচলাচল ও নৌপথের ব্যবসা ব্যণিজ্য। এতে করে বেকার হয়ে পড়েছেন নদীতীরের হাজার হাজার ব্যবসায়ী ও মৎস্যজীবী। খরা মৌসুম আসার আগেই নদীগুলোতে দেখা যায় ধুধু বালুচর। এককালে নওগাঁ সদর, বদলগাছী ও রানীনগর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা, মহাদেবপুর, ধামইহাট, পতœীতলা, মান্দা আর আত্রাই উপজেলার ওপর দিয়ে আত্রাই এবং মান্দা উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ফকিরনী আর শিব নদীতে বজরা চলতো। বজরা আর বড় বড় কোষা নৌকায় ভর্তি করে হাজার হাজার বস্তা ধান, চাল এ এলাকা থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতো।
একমাত্র নদীপথ দিয়েই চলতো ব্যবসা-বাণিজ্য। ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে নদী সংলগ্ন এলাকায় বাজার গড়ে উঠেছিল। আহসানগঞ্জে আত্রাই নদীতে র‌্যালি ব্রাদার্সের নিজস্ব সি প্লেন পড়তো সপ্তাহে দুদিন। তখন আহসানগঞ্জে কোনো ব্যাংক ছিল না। সপ্তাহে দুদিন সি প্লেনে করে টাকা নিয়ে এসে পাট ব্যবসায়ীদের টাকা পরিশোধ করা হতো। আহসানগঞ্জের পাট দেশের বিভিন্ন স্থানসহ বিদেশে রপ্তানি হতো। বর্তমানে সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠমো দাঁড়িয়ে আছে। অনেকগুলো ধ্বংসের পথে। এসব নদীতে পাওয়া যেতো নানা জাতের প্রচুর দেশীয় মাছ। আত্রাইয়ে গড়ে ওঠে অসংখ্য শুঁটকি গ্রাম। এখানকার শুঁটকি মাছ চলে যেতো রাজধানীসহ পার্শ¦বর্তী দেশে।
নদীগুলোর দুতীরে বসানো হতো অসংখ্য পাওয়ার পাম্প। এসব পাম্পের সাহায্যে পানি সেচ দিয়ে আবাদ হতো বোরো
ধান। খরচও কম পড়তো। পানির জন্য কোনো কষ্ট হতো না। এখন সেসব পাওয়ার পাম্প তীরে বসানো হয় না। শুরুতে বসানো হলেও এক মাসের মাথায় সেগুলোকে বসানো হয় নদীর তলায়, তাও কয়েক ফুট মাটির নিচে গর্ত করে। তাতেও পানি পাওয়া যায় না। ফলে ফসলের উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
মহাদেবপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দিনের পর দিন হয়রানী  ও অনিয়মের ঘটনা বাড়ছে
মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁর মহাদেবপুর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে দিনের পর দিন হয়রানী আর অনিয়মের ঘটনা বাড়ছে। নানা প্রতিকুলতা সৃষ্টি করে এক শ্রেণির সুবিধা ভূগী দলিল লেখকেরা মোটা অংকের অর্থের লোভে সাব রেজিষ্ট্রারকে দিয়ে অনিয়ম করাতে বাধ্য করছেন। বিনিময়ে সাব রেজিষ্ট্রারও হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। এর পূরটায় যোগান দিচ্ছেন চিকিৎসা, শিক্ষা, বিয়ে ও জন্ম মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে অসহায় বিধবা, শ্রমিক, কৃষক সহ বিপদগামী দলিল দাতারা। কিছু উচ্চ বিলাসী ভূমি দস্যুরা নানা ভাবে দলিল লেখকদের ব্যবহার করে অন্যের জমি নিজের নামে দলিল করে নেন। এতেও সাব-রেজিষ্ট্রার অনাষায়ে মোটা চুক্তির নগদ অর্থের বিনিময়ে স¤পাদন করে দেন। বর্তমান সাব রেজিষ্ট্রার বিপুল কুমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ভরি ভরি। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দলিল করতে আসা উপজেলার বামন সাতা গ্রামের মৃত আব্দুল রহমানের পুত্র মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস সহ একাধিক দাতা গ্রহিতার নিকট অতিরিক্ত ১’শ টাকা দাবি করলে তারা দিতে আপত্তি জানালে সাব রেজিষ্ট্রার ১১ টি দলিল স¤পাদন না করেই চলে যান। এর আগে বারী সরদার নামে এক গ্রহিতার দলিল স¤পাদন থেকে বিরত থাকেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার ফোন পেয়ে। এর একদিন পর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সেই দলিলটি পূনরাই স¤পাদন করে দেন। ঘটনাটি এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা জুরে বিপুল কুমারকে দ্রুত অপসারনের জোর ুদাবি ওঠে। একাধিক সংবাদ পত্রে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত  হলেও এর কোন প্রতিকার নেই। বরং উপজেলার দলিল লেখকদের ও সাব রেজিষ্ট্রারের অনিয়ম আর দূর্নীতি ব্যাপক হারে বাড়ছেই। গত ২৭ ফেব্র“য়ারী দলিল লেখক অহিদুর রহমান একটি দলিল স¤পাদনের জন্য সাব রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করেন। সাব রেজিষ্ট্রার বিপুল কুমার দলিলেল ট্রেজারি চালান পত্র জাল বলে দলিল স¤পাদন থেকে বিরত থাকেন। মহুর্তে ঘটনাটি দলিল লেখক ও অফিস পাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক হৈ চৈ ও উত্তেজনা শুরু হয়। সাব রেজিষ্ট্রার বিপুল কুমার ও দলিল লেখক অহিদুর একে অপরকে দোষারোপ করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ট্রেজারি চালন পত্রকে চ্যালেন্স করে বিপুল কুমার তা যাচায়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন। নির্বাহী অফিসার তাংক্ষনিক ভাবে থানা পুলিশকে জানালে থানা কর্তৃপক্ষ চালান পত্রটি সোনালী ব্যাংক মহাদেবপুর শাখায় নিয়ে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটি জাল বলে জানিযে দেন। অপর দিকে ঘটনার পর থেকে সাব রেজিষ্ট্রার দলিল লেখক অহিদুরের সকল দলিল স¤পাদন করা থেকে বিরত থাকেন। পরে দলিল লেখক সমিতির নেতাদের মাধ্যমে ১লক্ষ ২০ হাজার টাকায় সাব রেজিষ্ট্রারের সাথে অহিদুরের রফাদফা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখকেরা জানান। এব্যাপারে অহিদুরের সাথে কথা বলে দলিল দাতা ও গ্রহিতার নাম জানতে চাইলে সে দিতে আপত্তি জানান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আখতারুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ঘটনাটি এসিল্যান্ডকে মৌখিক ভাবে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এসিল্যান্ড মোঃ হেমায়েত উদ্দীন জানান বিষয়টি জানার সাথে সাথে থানা পুলিশের মাধ্যমে ব্যাংকে যাচাই করে তা ভুয়া বলে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে। সাব রেজিষ্ট্রার বিপুল কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি। #
Ruby