বুধবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

জালিয়াতির ॥ ৬ দলিল জব্দ ॥ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা পীরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ইউএনও’র অভিযান

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :: সোমবার জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আকষ্মিক অভিযান চালিয়ে জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে সম্পাদিত ৬ টি দলিল জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুর রউফ মন্ডল। এ ব্যাপারে থানায় জমি রেজিস্ট্র্রেশনের জন্য দরকারী কাগজপত্র জাল করে দলিল  করায় সংশি¬ষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা ও দলিল লেখক সহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হযেছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি নিয়ম নীতি লঙ্ঘন করে জেলার পীরগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসের এক শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে দলিল লেখকরা জমি রেজিস্ট্র্রেশনের জন্য প্রয়োজনীয় নাম খারিজা, হাল নাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদ, দাখিলা, ভূূমি জরিপের পর্চা ও এসএ রেকর্ডের কপি জাল করে  জমি রেজিস্ট্রি করে আসছিল।ফলে রাজস্ব আদায় মারাত্মœক ভাবে কমে যাওয়ায় সরকারি স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন ইউনিয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত তহশীলদারদের নিয়ে সোমবার দুপুরে স্থানীয় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অভিযান চালান। সে সময় অফিসে সম্পাদিত ২৪ টি দলিলের মধ্য হতে ৬ টি দলিলের সাথে সংযুক্ত ফটোকপিকৃত কাগজপত্র জাল বলে প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় সেগুলো জব্দ করেন। এ সময় সংশি¬ষ্ট দলিল লেখকরা তাদের সেরেস্তা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে সংশি¬ষ্ট জাবরহাট, কোষারাণীগঞ্জ, পীরগঞ্জ ও হাজীপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা যথাক্রমে মনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ ও রতন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে সরকারি কাগজপত্র জাল করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দেয়ার অভিযোগে ১২৩৩ নম্বর দলিলের দাতা আব্দুল গফুর, গ্রহিতা মোছা: মর্জিনা, দলিল লেখক মাসুদ রানা-লাইসেন্স নম্বর১৮৮, ১২৪১ নং দলিলের দাতা শকিনা বেগম, গ্রহিতা মো: আইনুল হক, লেখক মিজানুর রহমান-লাইসেন্স নম্বর ১৮১, ১২৩৫ নং দলিরের দাতা মাহাবুবুর রহমান, গ্রহিতা মো: সারোয়ার হোসেন, লেখক নজরুল ইসলাম-লাইসেন্স নং ১৭৪, ১২৩৭ নং দলিলের দাতা অনিল চন্দ্র রায়, গ্রহিতা টংক নাথ রায়, লেখক সত্যেন্দ্র নাথ রায়,লাইসেন্স নং-২০৬, ১২২৯ নং দলিলের দাতা মোছা: জাহেরা খাতুন, গ্রহিতা আব্দুর রশিদ, লেখক মনজুর আলম,লাইসেন্স নং-২০২, ১২৩৪ নং দলিলের দাতা স্বপন কুমার রায়, গ্রহিতা গুনধর চন্দ্র রায় ও দলিল লেখক শ্যামল কুমার রায়-লাইসেন্স নং-১১০, এর বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার মো: আব্দুল হালিম মন্ডল বলেন, একটি জালিয়াত চক্র দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে কাগজ জাল করে সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছে। মূল কাগজ দেখে নেয়ার নিয়ম থাকলেও কেন দেখা হয়না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মূল কাগজ দেখা হয় কিন্তু আসল কি নকল তা দেখে বোঝা যায়না। উলে¬খ্য, মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে খোদ সাব-রেজিস্ট্রার ও তার কয়েক সহযোগী এসব দলিল রেজিস্ট্রেশন করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
Ruby