বুধবার, ১৪ মার্চ, ২০১২

পরিত্রান পেতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ সুখানপুকুরে ভূমি দস্যু ও লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে একটি গ্রামের শতাধিক পরিবার জিম্মি।

জ্যোতি, গাবতলী ও সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি :: বগুড়ার সুখানপুকুরে ভূমি দস্যু ও লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে আছে একটি গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার। কিছুতেই ঐ বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা তারা। জমি দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই সহ গোটা গ্রামের ত্রাস সৃষ্টি করলেও হামলা, মামলা ও মারপিটের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। বাংলাদেশ রেলওয়ের লীজ নেওয়া ৫০টি পরিবারের দখলীয় প্রায় ২৫ বিঘা জমি ঐ বাহিনী দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ কারণে গ্রামের লোকজন ওই লাঠিয়াল বাহিনীর কবল থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
গ্রামের জনগন জানিয়েছে, উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের মধ্যে দিঘলকান্দি গ্রামের শমসের ফরিরের ছেলে জায়েদালী (৫৫) তার লঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে। সম্প্রতি তার বাহিনীর কর্মকান্ডে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, নুরুল ইসলাম সহ অনেকে জানিয়েছে, লাঠিয়াল বাহিনীর কবল থেকে গ্রামের কেউ রেহাই পাচ্ছে না। তারা জানান, তাদের মতো অনেকেই লাঠিয়াল বাহিনীর হামলা থেকে রক্ষা পেতে দিনে থাকছে আতঙ্কে, সন্ধার পর থাকছে অবরুদ্ধ।
জানাগেছে, লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সোনাতলা, গাবতলী, বগুড়া সদর থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাঁজী, অপহরণ ও মারপিটের মামলা রয়েছে। এছাড়া ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডাইরী করেছে প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি। জানাগেছে, ঐ লাঠিয়াল বাহিনী বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে। না পেলে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে পুলিশী গ্রেফতার এড়াতে ঐ বাহিনীকে চাঁদা দিলে মামলা তুলে নেওয়া হয়। ভুক্ত ভোগী অনেকে এ তথ্য জানিয়েছে। গ্রামবাসী জানিয়েছে, লাঠিয়াল বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রায় দের ডর্জন মামলা ও শতাধিক সাধারণ ডাইরি থাকলেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন ? স্থানীয় প্রশাসনের সাথে ঐ লাঠিয়াল বাহিনীর সখ্যতা আছে বলে ধারনা করেছে জনগন। এ ব্যাপারে জোড়গাছা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদ আব্দুল জোব্বার মন্ডল, ইউপি সদস্য মহিদুল হাসান, ওয়ার্ড বি এন পির সভাপতি হযরত আলী বাদশা, পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক সহ অনেকে জানিয়েছে, ওই লাঠিয়াল বাহিনীর অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ট। তারা প্রশাসনের প্রতি গ্রামবাসীকে রক্ষার দাবি জানান। এব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনগন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, বগুড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে।
Ruby