রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১২

সোনাতলায় যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে গমের বাম্পার ফলনঃ কৃষকের মুখে হাসি

জ্যোতি, গাবতলী ও সোনাতলা (বগুড়া) থেকে :: চলতি বছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার যমুনা ও বাঙ্গালী নদীর চরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বছরের তুলনায় চলতি বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও বেশী জমিতে গমের চাষ করা হয়েছে। সর্বত্র গমের বাম্পার ফলন হওয়ায় উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭ ইউনিয়নের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনতলা উপজলোর ১টি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করলেও লক্ষ মাত্রার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ বেশী করা হয়েছে। গত বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ করা হয়েছিল। গতবছরের তুলনায় এবার গম চাষের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বেশী চাষ করা হয়েছে। উপজলোর মধুপুর ইউনিয়নে চরমধুপুর, হরিখালী, হাঁসরাজ, সাতবেকী, মোনারপটল, রংরার পাড়া, বিশুর পাড়া, আড়িয়ার ঘাট, চরমোহনপুর, খাবুরিয়া, সরলিয়া, মহব্বতের পাড়া, ভিখনের পাড়া, আমতলী, পদ্মপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, হুয়াকুয়া, সোনাকানিয়া, শ্যামপুর, পোড়াপাইকর এলাকায় গমের চাষ তুলনাহারে বেশী হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষক মুকুল মিয়া, মোয়াজ্জেম আলী, নছিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, সেকেন্দার আলী, নজবুল, আব্দুর রহমান, তোজাম্মেল হক, জাহের আলী জানান বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। তাই কৃষকেরা কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার খুচরা ও পাইকারী মূল্যে সহজেই হাতের নাগালের মধ্যে পায় বলে জানান। তারা আরও জানান, ধান চাষের তুলনায় গম চাষ লাভবান ফসল। উৎপাদন খরচও কম তাই কৃষক গম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-৩০ মন গম চরের জমিতে উৎপাদন করতে পারে বলে তারা জানান। প্রতি মন গম ৭০০-৮০০ টাকায় হাটে-বাজারে সহজেই বিক্রি করতে পারে তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রওশন জামাল জানান, গম একটি অর্থকারী ও লাভবান ফসল। কৃষক ধানের চেয়ে গম চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। সহজেই এ ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে।

প্রতিযোগিতার যুগে ইংরেজী ও কম্পিউটার
শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে
-আব্দুল মান্নান এমপি 
জ্যোতি, গাবতলী ও সোনাতলা (বগুড়া) থেকে ঃ বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেছেন, প্রতিযোগীতার যুগে শিক্ষার্থীদেরকে ইংরেজী ও কম্পিউটার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিযোগিতার যুগে মেধাবীদের মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে।
তিনি সৈয়দ আহম্মদ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। আব্দুল মান্নান বলেন, সৈয়দ আহম্মদ কলেজটি উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ বে-সরকারী কলেজ। কলেজটির ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় ভবন নির্মান প্রয়োজন। কেন এতদিন এ এলাকার সংসদ সদস্য কলজটিতে ভবন নির্মানের কোন পরিকল্পনা গ্রহন করেননি তা ব্যর্থতার পরিচয় হিসেবেই বহন করে। পরিশেষে তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামীতে যোগ্যতার মাপকাঠি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাহলেই উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ততা থাকা  সম্ভব। অত্র কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ও গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর্জা মোহম্মদ আলী রেজার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, অত্র কলেজের উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজবুল হক, অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি টি এম মুসা পেস্তা, সংসদ পতœী সাহাদারা মান্নান, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমারত আলী, সুখানপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল হক টুল্লু, মেজবাউল হক জুলু, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দিলীপ কুমার ঘোষ, গনিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ধীরেন্দ্র নাথ রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন প্রভাষক মফিদুল ইসলাম। ক্রীড়া পরিচালনা করেন শরীর চর্চা শিক্ষক তানভীর আহম্মেদ সোহান।
Ruby