শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

নওগাঁর ধামইরহাটে পাষন্ড স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে গেল স্ত্রী মমতা রানী

নওগাঁ সদর প্রতিনিধি :: নওগাঁর ধামইরহাটে স্বামীর দেওয়া আগুনে স্ত্রী মমতা রাণী (২৩) ঝলসে গেছে। থানা ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের অন্তগর্ত ইনশিরা গ্রামের শ্রী প্রদীপ চন্দ্র মন্ডলের কন্যা মমতা রানী সহিত একই গ্রামের মৃত বাদল শীলের পুত্র সুকুমারশীল এর সহিত বিবাহ হয়। মমতা রানী ১ ছেলে সন্তানের জননী। বিয়ের পর থেকে স্বামী সুুকুমারশীল যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী মমতা রানীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত। কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না।এ অবস্থায় গত ২২ মার্চ রাত ৯ টায় ঝগড়া-ঝাটির এক পর্যায়ে পাষন্ড স্বামী স্ত্রী মমতা রানীকে আগুনে পুড়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন তৈল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঝলসে দেয়। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় মমতা রাণীকে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মমতা রাণীর অবস্থায় আশংকাজনক। পতœীতলা সার্কেল এসপি কে,এম আরিফুল ইসলাম ও ধামইরহাট থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, আহত মমতা রাণী ও তার পিতা দাবী করেন, যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে সুকুমারশীল মমতার গায়ে আগুন ধরে দিয়েছে। এ ব্যাপারে শুক্রবার মমতার বাবা প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় নারী শিশু আইনে একটি মামলা দায়ের করলে তদন্তকারী কর্মকর্তা সুকুমারশীলকে গ্রেফতার করে।#
Ruby