বৃহস্পতিবার, ৮ মার্চ, ২০১২

ঠাকুরগাঁওয়ে নারী শ্রমিকের কদর বেড়েছে

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও :: ঠাকুরগাঁওয়ে নারী শ্রমিকদের নিয়ে টানাটানি চলছে। বেড়ে গেছে তাদের কদর। পুরুষদের চেয়ে দামে সস্তা হওয়ার কারণে কৃষকরা আগাম বুকিং দিচ্ছে নারী শ্রমিক পেতে। রবি মৌসুমের ফসল উত্তোলনে নারীরা এখন ঘর থেকে বেরিয়ে মাঠে অবস্থান করছেন। আলু উত্তোলন, বোরো ধান ক্ষেতে নিড়ানী, ভুট্টা লাগানোসহ অন্যান্য কাজে নারী শ্রমিকরাই প্রিয় হয়ে উঠেছেন কৃষকের কাছে। দামেও সস্তা, কাজেও স্বাভাবিক। এ অবস্থায় কৃষকরা গ্রামীণ নারীদের কাজে লাগাচ্ছেন বেশি। এতে খরচ কম হয়।
গত কয়েক দিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনের ধুম পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভুল¬ী বড় বালিয়া গ্রামের কৃষক মামুন, রমজান আলী, সফিকুল ইসলাম জানান, আলু তুলতে নারীদের প্রয়োজন বেশী। নারী শ্রমিকদের অভাবে আলু তোলার কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। আগাম টাকা না দিলে নারী শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামে গ্রামে চলছে নারী শ্রমিক নিয়ে টানাটানি। পুরুষ শ্রমিক নিলে দ্বিগুণ টাকা দেওয়া লাগে। বড় কৃষকরা রাতেই মহিলাদের টাকা দিয়ে বুকিং দিয়ে রাখছেন, যাতে তারা অন্যের কাজে যেতে না পারে।
সরেজমিনে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলাগুলোর মাঠে-ঘাটে আলু তুলতে নারীদের পদচারণা। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত নারী আলু তুলতে ব্যস্ত। কেউ বা নিড়ানী দিচ্ছেন বোরো ক্ষেতে আবার কেউ বা ভুট্টা লাগাচ্ছেন। প্রতিদিনের কাজের জন্য তারা মজুরি পান এলাকা ভেদে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মন্ডলপাড়া গ্রামের নারী শ্রমিক রীনা আক্তার, সেফালি বেগম, ফুলতী বালা ও আনোয়ারা বেগম বলেন, গেরস্তরা রাইতোত হামাক আগাম টাকা দিয়া যায়। মজুরি কম হইলেও এ বছর কাম জুটতোছে, দুই মুঠ খাবার পাইতোছি।
Ruby