শনিবার, ৩১ মার্চ, ২০১২

কোতোয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক ফেন্সিডিল ও অস্ত্রসহ ০১ ব্যবসায়ী আটক

চট্টগ্রাম ব্যুরো :: সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব আমেনা বেগমের সার্বিক তত্ত্ববধানে গত ২৯/০৩/১২ ইং তারিখ ১৯:৩৫ ঘটিকার সময়  জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালী থানা, পুলিশ পরিদশক(তদন্ত) জনাব সদীপ কুমার দাশ, পিপিএম’দ্বয়ের নের্তৃত্বে এসআই/নেজাম উদ্দিন, এসআই/ মোঃ ইলিয়াছ খান ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদ পান যে, কোতোয়ালী থানাধীন চামড়ার গুদাম রোডে একজন মহিলা অস্ত্র ব্যবসায়ী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় বিক্রয় করার জন্য কক্সবাজার হতে মহানগরীতে প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে অংশ নেওয়া টিম দ্রুত চামড়ার গুদাম রোডস্থ নির্মাণাধীন নুতন ব্রীজের মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। অবস্থানকালীন সময়ে একজন বোরকা পরিহিত মহিলাকে একটি ব্যাগ কাঁধে সন্দেহজনক অবস্থায় পায়ে হেটে ফিশারীঘাট অভিমূখে আসতে দেখে উপরোক্ত টিম উক্ত মহিলাকে আটক পূর্বক চ্যালেঞ্জ করলে সে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মহিলার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে  ০২টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ভাঁজ করা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র সম্পর্কে আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় যে, উক্ত অস্ত্র দুই‘টি বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন মোঃ নুরুল আলম ও মোঃ ছলিম‘দ্বয়ের। তারা  শহরে বহন করে আনার জন্য দিয়েছে। ধৃত আসামী আন্তঃ জেলা অস্ত্র ক্রয় বিক্রয় দলের সক্রিয় সদস্য। ইতিপূর্বেও সে একই পন্থায় অস্ত্র বহনকালে গ্রেফতার হয়েছিল। এছাড়াও ধৃত আসামী ইতিপূর্বের একাধিক অস্ত্র-শস্ত্র ক্রয় বিক্রয়ের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।  এ সংক্রান্তে ধৃত আসামীসহ পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানার মামলা নং- ৫৬ তারিখ-২৯/০৩/১২ ইং ধারা- ঞযব অৎসং অপঃ ১৮৭৮ ংবপঃরড়হ ১৯-অ নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।ধৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা মোর্শেদা আক্তার @ পাখি (৩২), পিতা-মোঃ আব্দুল জলিল  স্বামী-মোঃ মকবুল সাং-ঈদঘর কোদালিয়াকাটা,  সমুদা বড় বাড়ী থানা-রামু জেলা-কক্সবাজার।উদ্ধারকৃত আলামত ঃ ০২(দুই)টি দেশীয় তৈরী বন্দুক।উক্ত টিম অপর এক অভিযানে অদ্য ৩০-০৩-২০১২ইং তারিখ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতায়ালী থানাধীন চামড়ার গুদামস্থ ব্রীজের গোড়ায় রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে অভিনব পন্থায় অর্থাৎ ল্যান্ড ক্রুজার জীপ যোগে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরাচালানের মাধ্যমে পটিয়া থানা এলাকাসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকামেট্রো-গ-১৪-০৬১৩ নম্বরের একটি কথিত ল্যান্ড ক্রুজার জীপ হতে ১০০০ (এক হাজার) বোতল ভারতীয় তৈরী আমদানি নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল উদ্ধার করে এবং উক্ত ফেন্সিডিল বহন/ ব্যবসায় নিয়োজিত ০৪ জন চোরাচালানীকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা জনৈক রিপন ও তৈয়ব‘দ্বয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা করে আসছে। এছাড়াও আসামীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ উদ্ধারকৃত গাড়ী দ্বারা সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেন্সিডিল বহন করে রাঙ্গামাটি, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম মহাগনগরীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিকট পৌছে দিতো। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিলগুলো ০৫টি চটের বস্তায় ভর্তি ছিল। বস্তার গায়ে খাদ্য অধিদপ্তরের জন্য, উৎপাদন জুন/২০১০ ইত্যাদি লিখা আছে। এ সংক্রান্তে আসামীগণ জানায় উপরোক্ত গাড়ীটি দ্বারা তারা নির্বিঘেœ মহাসড়কে চলাচল করতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তারা সরকারী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত গাড়ীর মতো ল্যান্ডক্রুজার জীপ ব্যবহার করে আসছে। এছাড়াও ধৃত আসামীদের নিকট হতে মাদক চোরাচালানের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ধৃত আসামীর নাম ও ঠিকানা লিটন সেন(২১),  পিতা-মৃত সাধন সেন সাং-হাইদগাঁও, সুধাংশু মাষ্টারের বাড়ী, থানা-পটিয়া জেলা-চট্টগ্রাম। মোঃ ইয়াছিন (২০),  পিতা-খোরশেদ আলম সাং-কালাগাজী চৌধুরী বাড়ী থানা-হাটহাজারী জেলা-চট্টগ্রাম।  মোঃ গোলাম নবী (৩০),  পিতা-মৃত আব্দুল হাকিম সাং-সাতবাড়ীয়া থানা-সেনবাগ জেলা-নোয়াখালী।মোঃ আনোয়ার হোসেন(২২), পিতা-আব্দুল রব, সাং- সাতবাড়ীয়া থানা-সেনবাগ জেলা-নোয়াখালী। উদ্ধারকৃত আলামত  ১০০০(এক হাজার) বোতল তৈরী ফেন্সিডিল ০১(এক)টি ল্যান্ড ক্রুজার জীপ, ঢাকামেট্রো-গ-১৪-০৬১৩।
Ruby