সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

কালবৈশাখী ঝড়ে ঠাকুরগাঁও লন্ডভন্ড নিহত-২, আহত-২০ ৫ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ॥ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

আল মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, ঠাকুরগাঁও :: গত রোববার আকস্মিক কালবৈশাখীর তান্ডবে ঠাকুরগাঁওয়ের ৫০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়েছে। ৫ সহস্রাধিক কাচা পাকা বাড়ি ঘর ভেঙে যায়। গাছপালা ও বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বজ্রপাতে ও ঘর চাপা পড়ে এবং টিনের আঘাতে ২ গৃহবধুসহ ৩জন মারা গেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

রোববার পৌনে ৪টায় আকস্মিকভাবে কালবৈশাখী ঝড় ঠাকুরগাঁও জেলায় আঘাত হানে। এতে সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, হরিপুর উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বড় বড় গাছ ভেঙে পড়ে পাকা ও কাচা বাড়ি ভেঙে যায়। বেশিরভাগ কাচা ঘর ও টিন উড়ে যায়। ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর সড়কের খোঁচাবাড়ি ও পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও সড়কের মাদারগঞ্জে বট গাছ ভেঙে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শিবগঞ্জ এলাকায় বৈদ্যুতিক টাওয়ার উপড়ে পড়ে জেলার ৪ উপজেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ সচল করা হলেও ৪ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

উড়ন্ত ঢেউ টিনের আঘাতে নেকমরদ গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৩৫) এবং বজ্রপাতে বিশ্রামপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম (৪৫) নামে ২ গৃহবধু নিহত হয়। এছাড়াও গাছ চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে আরো ২০জন আহত হয়। তাদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালসহ ৪ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কালবৈশাখী ঝড়ে ভুট্টা, মরিচ, গম, ইরি-বোরো ধান এবং আমন ও লিচুর মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মুহা. শহিদুজ্জামান জানান, ৪ উপজেলার ৫সহস্রাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য মন্ত্রনালয়ে ফ্যাক্স বার্তা প্রেরন করা হয়েছে।
Ruby