রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

পুঠিয়ায় মোমবাতিই এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ভরসা !

মোঃ মেহেদী হাসান, পুঠিয়া (রাজশাহী) থেকে  :: বর্তমান সময়ের সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিষয় লোডশেডিং। গ্রামগঞ্জে, শহর-বন্দরে, লোডশেডিং জনগনকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এ সেক্টরে হাজার কোটি টাকা ব্যায় কোন কাজেই আসছে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে লোডশেডিয়ের কবলে কৃষি সেচযন্ত্র, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া ও শ্রমিকের কলের চাকা থমকে গেছে। সব চাইতে বেশী দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। প্রচন্ড গরমে ও ঘামে বিঘিœত হচ্ছে তাদের লেখাপড়া এবং দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পরিস্থিতি এমনি পর্যায়ে পৌঁছেছে যথা সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় সঠিকভাবে র্চাজ দিতে না পারায় আলো জ্বলছে না চার্জ লাইটে। ফলে কাজে আসছে না চার্জারও। মোমবাতি জ্বালিয়ে চূড়ান্ত মুহূর্তের পড়ার কাজ সারতে হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। সন্তানদের এ অবস্থা দেখে তাদের অভিভবকরাও চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহতা পরীক্ষায় চূড়ান্ত প্রস্ততির শেষ মুহূর্তেও তাদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। বর্তমানে বানেশ্বরের পুঠিয়া উপজেলাসহ উত্তরাঞ্জলগুলোতে দিনরাত ১০ থেকে ৫বার লোডশেডিং হচ্ছে। কোন কোন এলাকাতে এর বেশীও হচ্ছে বলে জানান বানেশ্বরের বাসিন্দারা। ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলছেন বিদ্যুৎ দিতে না পারলেও সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে বিদ্যুতের বেহালদশা। বিদ্যুতের দাবিতে এখুনিই বিভিন্ন জেলায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে কৃষক জনতা। সমাবেশ মিছিল ও মানববন্ধনও করছে তারা। অবরোধ ও বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও এমন ঘটনাও ঘটছে। ইতিমধ্যেই হামলা ও ভাংচুরের আশঙ্কায় বেশ কিছু জেলা উপজেলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে,বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গভীর ও ভোর রাতেও লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পাচ্ছে না দেশের মানুষ পুঠিয়া উপজেলাতে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ বার লোডশেডিং হচ্ছে। রাতে সেচ কাজে নিরবিচ্ছিন বিদ্যুৎ দেয়ার কথা থাকলেও গ্রামের মানুষের অভিযোগ ৩/৪ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ তারা পাচ্ছে না। কয়েক দিন পর গরমের তীব্রতা বাড়লে ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারন করবে। পুঠিয়ার বানেশ্বর ডিগ্রী কলেজের এইচএসি পরীক্ষার্থীরা জানান, বার বার লোডশেডিংয়ের কারনে লেখাপড়ায় প্রচন্ড বিঘœ ঘটছে। ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জারেও আলো থাকছে না । গরমে ঘেমে তাদের অবস্থা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় মোমবাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করতে হচ্ছে বলে জানায় ঐ পরীক্ষার্থী। এঅবস্থা উপজেলা ৬ টি ইউনিয়ন ও পুঠিয়া,দূর্গাপুর, চারঘাট,বাঘা উপজেলাসহ রাজশাহী জেলার সর্বত্রে বলে জানান ভুক্তভোগী অবিভাবকরা।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে বড় বাধা-সংকট। একারনে হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বড় শিল্পগুলোকে সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। গ্রীম্মকাল আসলেই বিদ্যুৎতের জন্য রীতিমত হাহাকার শুরু হয়ে যায়। সংকট মোকাবেলায় সরকার তাড়াহড়া করে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। জ্বালানি তেল নির্ভর এসব ভাড়াভিত্তিক কেন্দ্র এখন সরকারের সামনে বড় সমস্যার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেলের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।

উল্লেখ্য,এই প্রতিবেদনটি কম্পিটারে টাইপ করাকালে প্রায় ৭/৮বার লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
Ruby