রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

বাঘায় স্থগিত চারটি ইউনিয়ন ও পৌর নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ

আমানুল হক আমান, নিজস্ব প্রতিবেদক :: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নির্বাচনের দাবিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সমাবেশে একটি নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত শনিবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা আ’লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমানুল হাসান দুদুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লেঃ কর্নেল (অবঃ) রমজান আলী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক বাঘা পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আ’লীগ সভাপতি ও বর্তমান পৌর কাউন্সিলার আব্দুল কুদ্দুস সরকার, জাপা নেতা এমদাদুল হক সন্টু, সাবেক বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম মামুন, গড়গড়ী ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডল, আ’লীগ নেতা কাপাতুল্ল¬া সরকার, জামায়াত নেতা আব্দুল মানিক, জেলা বিএনপি সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল হক ফিটু, পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ। ওই সমাবেশে লেঃ কর্নেল (অবঃ) রমজান আলীকে আহবায়ক করে ৫১ সদস্যের একটি নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়ন, গড়গড়ি ইউনিয়ন, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন ও মনিগ্রাম ইউনিয়নের সিমানা বৃদ্ধি না করে পূর্বের সিমানা বহাল রেখে নির্বাচনের দাবী অনেক দিনের ওই চার ইউনিয়ন বাসীর। ওই চারটি ইউনিয়নের সীমানা এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে নির্ধারন করা হয়। কিন্তু এলাকাবাসী ওই সীমানা নির্ধারন চাইনি। ফলে পূর্বে সীমানা নির্ধারন রেখে নির্বাচনের দাবি করে আসছে। এছাড়া গত বছরের ২ জুলাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উক্ত ওই সকল কারনে মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আকবর হোসেন, সাবেক গড়গড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গনি মন্ডল, পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কলিগ্রামের রেজাউল হক ফিটুসহ এলাকার বেশ কিছু লোক রাজশাহী জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পূর্বের সীমানা বহাল রাখার আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করেন। ওই চারটি ইউনিয়নের নির্বাচন কবে হবে উপজেলা নির্বাচন অফিস তা বলতে পারেনি। তবে আড়ানী ইউনিয়ন ও বাউসা ইউনিয়ন নির্বাচনের ভোট গ্রহন গত ২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। ফলে বাঘা পৌরসভাসহ বাজুবাঘা, গড়গড়ি, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম ইউনিয়ন ও পৌর বাসি একত্রিত হয়ে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা নির্বাচন স্থগিত চাইনা। পূর্বের যে, সীমনা ছিল ওইটি রেখে নির্বাচন চাই। সবকিছু সমন্বয় করে অতিত্তর নির্বাচন চাই। এমতিতেই ৯ বছর নির্বাচনের মেয়াদ পার হতে চলেছে। তবে অতিত্তর নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। তবে নির্বাচন কবে হবে উপজেলা নির্বাচন অফিস ছিছুই জানেনা।
Ruby