শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

চবির হলের কক্ষে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার


চট্টগ্রাম ব্যুরো :: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)’র একটি হল থেকে এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শাহজালাল হলের ৩৩৩ নম্বর কক্ষে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সহপাঠিরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালে পরে পুলিশ এসে গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করে। অত্মহত্যাকারী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. সোহাগ হাওলাদার (২৪। সে চবির  ফিনান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্সের (ফাইনাল সেমিস্টার) ছাত্র  এবং মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার পূর্ব বাইকপাড়া বীরমোহন গ্রামের মো. তোরাফ হাওলাদের ছেলে।
আবাসিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে বন্ধু-বান্ধব ও মুঠোফোনে বাবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে রাতে ঘুমুতে যান সোহাগ। কিন্তু গতকাল  সকালে এত বেলা হওয়া পর্যন্ত না ওঠায় অনেক ডাকাডাকির পরও কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে কক্ষের জানালার কাঁচ দিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা।
হলের প্রভোস্ট শাহেদ বীন ছাদিক বলেন, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শিক্ষার্থীরা আমাকে বিষয়টি জানালে এসে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানেন ।নৌ বাহিনীর লেফটেন্যান্ট তার মামা মুনীর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ক্যাম্পাসে আসলে মৃতদেহটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৩ হাজার ৪১৯ জন লোকবল
নিয়োগের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে রেলওয়ের নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ অক্টোবর সিআরবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জিএমকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ৯ ফেব্র“য়ারী রেলমন্ত্রীকে ফ্যাক্সবার্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। ১২ ফেব্র“য়ারী  রেলমন্ত্রীকে আবারও ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, তার নামে চট্টগ্রামে নিয়োগ বাণিজ্য করা হচ্ছে। ২৮ মার্চ আমাদের ১৪ জন প্রতিনিধি রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিয়োগে দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন। এরপর গত ৪ এপ্রিল সিআরবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং পাহাড়তলীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এরপর গত ৯ এপ্রিল রেলসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি আবারও অবহিত করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের সাতটি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। গতকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা । একই সাথে  রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার ও পূর্বাঞ্চলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধার ৭০ লাখ টাকা নিয়ে ধরা পড়ার ঘটনা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। এছাড়া তারা জিএম ইউসুফ আলী মৃধাকে অবিলম্বে অপসারণ করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন।সম্মেলনে জানানো হয়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ৩ হাজার ৪১৯ জন লোকবল নিয়োগের নামে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। প্রত্যেকের কাছ থেকে দু’থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। যিনি বেশি টাকা দিয়েছেন তিনিই চাকরি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে মন্ত্রী জড়িত আছেন কি না জানি না। তদন্তে এটা বের হবে। তার আগে আমরা মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি না। তবে জিএমকে অবিলম্বে অপসারণ করে রিমান্ডে নেওয়া হোক। তাহলে প্রকৃত সত্য বের হবে। জিএম ইউসুফ আলী মৃধার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।
সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসুক। এতে যদি মন্ত্রী জড়িত থাকেন, তবে তার বিচার হোক। আর যদি এপিএস ও জিএম নিজেদের বাঁচাতে মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করেন তবে তাদেরও বিচার হোক। এছাড়া সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে সংগঠনটি ৬ মাস ধরে আন্দোলন করছে । তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য যদি মন্ত্রণালয় যথাসময়ে আমলে নিতো, তাহলে আজ সমগ্র রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ললাটে লজ্জাকর, কলঙ্ক তিলক পরিধানের দৃশ্য দেশবাসীকে অবলোকন করতে হতো না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী এস কে বারি খোকন, সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আব্দুস সবুর, মোহাম্মদ আলী, রফিক চৌধুরী, কাজী আনোয়ারুল হক, গোলাম মোস্তফা, রেজওয়ানুর রহমান খান।

Ruby