শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

কোতোয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক ৫০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ ০২ মাদক চোরাচালানী গ্রেফতার :




চট্টগ্রাম ব্যুরো: সিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব আমেনা বেগমের সার্বিক তত্ত্ববধানে ইং ১৪/০৪/১২ তারিখ দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ অদ্য ১৫/০৪/১২ ইং তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালী থানা, পুলিশ পরিদশক(তদন্ত) জনাব সদীপ কুমার দাশ, পিপিএম‘দ্বয়ের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে অত্র থানার এসআই/ মোঃ নেজাম উদ্দিন, এসআই/ মোঃ হারুন অর রশিদ ও এএসআই/ মোঃ শফিকুল ইসলাম এবং সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, অত্র থানাধীন পুরাতন রেলষ্টেশনে বটগাছ তলায় ১০/১২ জন লোক মাদক চোরাচালানী ভারতীয় তৈরী মাদক ফেন্সিডিল ক্রয় বিক্রয় করিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে অংশ নেওয়া টিম দ্রুত উক্ত স্থানে পৌঁছিলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাহারা এলোপাতাড়ি দৌঁড়াতে থাকে। অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ উক্ত চোরাচালানীদের মধ্যে হইতে দুইজনকে হাতে নাতে ধৃত করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা তাহাদের নাম ১) মোঃ সালাউদ্দিন (২৫) ও ২) মোঃ জুয়েল (২৪) বলিয়া প্রকাশ করে। তাহাদের হেফাজত হইতে ৫০০ বোতল ভারতীয় তৈরী আমদানী নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়। তাহারা জানায়, পলাতক আসামীরা ট্রেনের মাধ্যমে কুমিল্লা হইতে উক্ত ফেন্সিডিল বিক্রয়ের জন্য তাহাদের নিকট আনিয়াছে। তাহারা একটি সঙ্গবদ্ধ মাদক চোরাচালানদলের সক্রিয় সদস্য। ইতিপূর্বেও গ্রেফতার ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। এছাড়াও আসামীগন মাদক চোরাচালান সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করিয়াছে। 

পটিয়ায় প্রাক-প্রাথমিক গণ শিক্ষা কেন্দ্রের
শিক্ষক ও কর্তদের অনিয়ম দূর্ণীতি

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ চট্টগ্রাম ব্যুরো: ধমর্ মন্ত্রনালয়ের অধিনে ইসলামী ফাউন্ডেশন কতৃক পরিচালিত মসজিদ ভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষকেরা মাসের পর মাস পাঠদান না করেও বেতন ভাতা নিচ্ছে।গণ শিক্ষা পটিয়ায় দায়ত্ব প্রাপ্ত কর্তাদের বস করে চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতি ।
কেন্দ্রগুলো দেখা শুনা করার জন্য পটিয়াতে সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিভিন্ন অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ।
জানা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধিনে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালিত ২২টি ইউনিয়নে ১২০টি প্রাক-প্রাথমিক গণ শিক্ষা কেন্দ্র ও ৫টি পাঠাগার রয়েছে। সরকারী বিধি মেতাবেক প্রতি কেন্দ্রে ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী থাকা আবশ্যক হলেও অনেক কেন্দ্রে ১০-১৫ জনও নেই,  ছাত্র ছাত্রীদের বয়স ৬ বছরের নিচে হওয়া কথা, কিন্তু দেখা গেছে দশ বছরেরও বেশী । অনেক কেন্দ্রে  সাপ্তাহে একদিন খোলা হয় না শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা পর্যন্ত নেই, এছাড়াও সকাল ৭ থেকে ১০ পর্যন্ত খোলা রেখে পাঠদান করার নিয়ম থাকলেও পটিয়ায় একটি কেন্দ্রেও তা মানা হচ্ছে না চলছে ইচ্ছ মত। উপজেলার ১২০ টি কেন্দ্র পরিচালনা করার জন্য পাঁচ ভাগে ভাগ করে পাঠাগারের ৫ জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তারা হলেন পটিয়া পৌর সদরের সাধারন রির্সোস সেন্টারের মাওলানা বকতিয়ার,জঙ্গল খাইন ইউনিয়নের গৈড়লা ইউসুফ চৌধুরী সাধারণ রির্সোস সেন্টারের মুন্সি আবুল কালাম,কুসুমপুরা ইউনিয়নের গৌরণখাইন সাধারণ রির্সোস সেন্টারের মাওলানা মোহাম্মদ ফোরকান শোভনদন্ডী ইউনিয়নের আদ্দ মল্ল পাড়া সাধারণ রিসোর্স সেন্টারের আকতার হোসেন,পটিয়া পৌর সদরের মডেল রিসোর্স সেন্টারের পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ মমতাজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ইসলামী ফাউন্ডেশনের পাঠাগারগুলোর মধ্যে পটিয়া পৌর সদরের পোস্ট অফিস রোডের  সাধারণ রির্সোস সেন্টারে  গিয়ে দেখা পাঠাগারের কোণে একটি ভাঙ্গা চুড়া আল মিরা পড়ে আছে, নেই কোন চেয়ার টেবিল,বই, সংবাদ পত্র,নেই কোন পাঠক বসার মত পরিবেশ দেথা গেছে পুরানো একটি দৈনিক পত্রিকা অথচ পাঠাগারের নাম করে প্রতি মাসে ২ হাজার ২শ টাকা করে বেতন ও বই,দেনিক সংবাদ পত্রের বিল ভউচার করে মাসে মাসে বিল ৩-৪ হাজার টাকা ভয়া বিলা করে টাকা উত্তলণ করে আত্তসাত করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। উপজেলা চেয়ারম্যান নিজেই প্রাক-প্রাথমিক গণশিক্ষা কেন্দ্রগুলোকে গতিশীল করার জন্য একাধিক বৈঠকও করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক শিক্ষক বলেন,নতুন কেন্দ্রগুলো পেতে হলে মোটা অংকের টাকা দিতে হয় নতুবা মাসিক বতনের একটি  অংশ সহ-কেয়ারটেগারদের দিয়ে দেয়ার রাজি হলে কেন্দ্র পাওয়া যায়। কোন অনিয়ম থাকলেও টাকা দিলে কোন সমাধান হয়ে যায়।
পটিয়া পৌর সদরের সুচক্রদন্ডী গণ শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক মোহাম্মদ দেলোয়ার বলেন, আমি ঘুষ দিতে না পারায় আমার কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে।
উপজেলা পটিয়া গণ শিক্ষার কেয়ারটেগার ও মডেল রির্সোস সেন্টারের পরিচালক  মোহাম্মদ মনতাজ বলেন, আমি প্রতিদিন ৬টি কেন্দ্র পরিদর্শন করি ও ছোট খাট কিছু অনিয়ম দুর্ণীতি থাকবে এ গুলো বেতন ভাতা কম হওয়ায় হচ্ছে।
প্রাক-প্রাথমিক গণ শিক্ষার পটিয়া সদরে দায়িত্ব প্রাপ্ত কেয়ারটেগার ও পাঠাগারের পরিচালক মাওলান মোহাম্মদ বকতিয়ার অনিয়ম ও দুর্ণীতির কথা স্বীকার করে বলেন,কিছু কিছু অনিয়ম আছে কিন্তু ইসলামী ফাউন্ডেশনের চাকুরী আছে বলে পটিয়া উপজেলায় আলেমরা সরকার থেকে প্রতি মাসে ১৮ শ টাকা করে বেতন ভাতা পাচ্ছে। নিউজটা একটু আমাদের পক্ষে আসে মত করবেন ,এটা বন্ধ হয়ে গেলে আলেম ওলামারা কিভাবে চলবে।
প্রাক-প্রাথমিক গণ শিক্ষা পটিয়া,চন্দণাইশ,বোয়ালখালীর দায়িত্ব প্রাপ্ত সুপারভাইজার মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন,কোন কেন্দ্রে ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন,যেসব কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম রয়েছে সেগুলো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব,ইসলামী ফাউন্ডেশনের পটিয়ায় দায়িত্ব প্রাপ্তদের সাথে বসে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Ruby