শনিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১১

পুঠিয়ায় একই পরিবারে সবাই প্রতিবন্ধি তাই সংসার চলে ভিক্ষাবৃত্তি করে

বাঘা নিউজ ডটকম, বিজয় ঘোষ, ২৪ ডিসেম্বর : রাজশাহীর পুঠিয়ায় একই পরিবারের সকল সদস্যই প্রতিবন্ধি। বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি করে খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছে। অনেকে এসে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে আশ্বাস প্রদান করলেও বাস্তবে সাহায্যের হাত বাড়ায় না কেহ। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ ফায়দা লুটছে প্রতিনিয়ত যা দেখার কেউ নাই।
সরজমিন ঘুরে দেখাগেছে, উপজেলার বেলপুকুর রেলগেট এলাকার প্রতিবন্ধি গোলাম মোস্তফা (৫৬) যৌবন কালে সে প্রতিবন্ধি হওয়ায় তার পিতা মাতা অপর এক প্রতিবন্ধি রাসেদার সঙ্গে বিয়ে দেন। আর বিয়ের দু’বছরের মাথায় তাদের পরিবারে প্রথম সন্তান জন্ম নেয় নিহারী (২৯) এর দু’বছরের মাথায় একমাত্র পুত্র রাসেল (২৭), তারপর রুমা (১৬) ও ছোট মেয়ে মুর্শিদা (৮) বছর বয়সে ২০০৪ সালে মার্চ মাসে হঠাৎ নিখোজ হওয়ার পর ৪ দিনের মাথায় চারঘাটে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বড় মেয়ে ৫ম শ্রেণী ও ছেলে ৪র্থ শ্রেণী পযর্ন্ত লেখাপড়া করেছে। আর বাকি সন্তানরা সংসারের অভাব অন্টনও প্রতিবন্ধি হওয়ায় লেখাপড়ার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মোস্তফা অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাহায্য সহযোগিতা চেয়ে ২০০৮ সালে ১৩ হাজার টাকা খরচ করে সরদা পুলিশ লাইনের পার্শ্বে ইসরাইল এর পুত্র আলমগীরের সাথে বড় মেয়ে নিহারীর বিবাহ দেয়। কথা ছিল বিয়ের পর মেয়ের জামাইকে দোকান করে দিতে হবে কিন্তু মোস্তফার পক্ষে এত বড় স্বাধ্য পুরন করতে না পারায় তার মেয়েকে ফেলে রেখে যায়। আর এর মধ্যে নিহারীর কোলজুড়ে আসে একটি পুত্র সন্তান রাব্বি (৩)। একদিকে মোস্তফার অভাব অন্টনে সংসার চলে না তার সাথে যোগ হয় বড় মেয়েকে নিয়ে বিড়ম্বনা। সে প্রতিবন্ধি হওয়ায় তাকে দিয়ে কোন প্রকার কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় এলাকায় তার কোন কদর নেই। কেউ নেয়না তার পরিবারের খোজ খবর। যার ফলে সে অসহায় ও নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন গ্রাম, হাটবাজারে পুত্র রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে সারাদিন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পাওয়া যায় সন্ধায় বাড়ি ফিরে সবাই মিলে তা ভাগাভাগি করে খায়। তার ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য নেই কোন হুইল চেয়ার হামাগুড়ি দিয়ে প্রতিদিন তাকে পাড়ি দিতে হয় অনেক পথ। তার পরিবারে আসেনা কোন ঈদের খুশি নেই নতুন জামা কাপুড় পাওয়ার আনান্দ। সরকারী সুবিধা বলতে একটি মাত্র ভিজিএফ কার্ড। যা তার বর্তমানে ৬ সদস্যের পরিবারে তেমন কোন প্রভাব পড়েনা।
স্থানীয়রা জানায় একশ্রেণীর দালাল এই প্রতিবন্ধি পরিবারকে দেখিয়ে একের পর এক ফায়দা লুটছে। মোস্তফার একটি মাত্র চাওয়া কোন হ্নদয় বান ব্যাক্তি যদি তাকে সাহয্য করে একটি দোকান করার মতো ব্যাবস্থা করে তাহলে সে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে সুখে সান্তিতে দিন যাপন করতে পারবে বলে জানায়।#
Ruby