বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১২

চারঘাটে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর জীবন যাপন

বাঘা নিউজ ডটকম, মিজানুর রহমান বিপ্লব, চারঘাট প্রতিনিধি :: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায়  ৫ টি নিন্মমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫ টি মাদ্রাসা, ২টি ইবতেয়াদী মাদ্রাসা,  ৩ টি মহাবিদ্যালয়,  ৫ টি ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, ৪টি কারিগরী  বিদ্যালয় এবং ৩টি টেকনিক্যাল কলেজ সহ বেশ কয়েকটা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী দীর্ঘ ৮-১০ বছর ধরে নিরলসভাবে পাঠদান করে এলেও  এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারনে কোন প্রকার বেতনভাতা পাচ্ছে না।  ফলে তারা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। জানা গেছে,  চারঘাট উপজেলার শিক্ষা বিস্তারের বে-সরকারী পর্যায়ে স্কুল কলেজ ও মাদ্ররাসা সব মিলে ৭৫ টি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।  শর্তাবলি  পূরণের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠানের নামে জমি নেওয়া,অবকাঠামো নির্মান, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগসহ প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে বড় অঙ্কের অর্থ বেরিয়ে গেছে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের। ফলে কেবল টিউশন ফির ওপর নির্ভরশীল এসব প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জিবন যাপন করছেন। ইতিমধ্যেই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু বন্ধ হওয়ার উপক্রম এবং কিছু বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে এলাকার শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষক -কর্মচারী তাদের শেষ সম্বল বিক্রি করে ডোনেশন স্বরুপ লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন।  দীর্ঘ দিন ধরে বেতনের আশায় থেকে এখন তারা নিঃস্ব হওয়ার পথে।
অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভায়ালক্ষীপুর বুধিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলতাফ হোসেন, চাদঁপুর আল মদিনা কারিগরী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসলাম উদ্দিন, সরদহ পশ্চিম ঝিকরা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদ রানা, সহ অন্যান্য নন এমপিও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা  আপেক্ষ্য প্রকাশ করে বলেন,  ১০ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করছে । ৬ বছর ধরে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠান থেকে ভাল ফলাফল করেছে। অনেক আশায় ছিলাম তবুও এমপিও হয়নী। অন্য শিক্ষকদের শান্তনা দেবার ভাষাও  এখন মুখে আসে না। শুধু রাওথা স্কুল এন্ড কলেজ নয় এমনি করে চারঘাটে ২৮ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

Ruby