সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১১

বাংলাদেশ এগিয়ে…

বাঘা নিউজ ডটকম, ১৯ ডিসেম্বর : ঢাকা টেস্টের ফল যাই হোক দুদিন পর মনে হতেই পারে বাংলাদেশ অন্তত অসহায় আত্মসমর্পণ করছে না। অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যে কোন ফলই হতে পারে। দু’দিন শেষে ঢাকা টেস্টে দু’দল এখন যে অবস্থানে তাতে ভাগ্যের চাকা যে কোন দিকে ঘুরতে পারে। বাংলাদেশের ৩৩৮ রানের জবাবে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৭। ২৫১ রান পিছিয়ে তারা। এ পিচে রান তোলা যে সহজ নয় তা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের রান তোলার গতি দেখে বোঝা যায়। আর এটিই আশার খোরাক যোগাচ্ছে বাংলাদেশ শিবিরে। এ টেস্টের শুরুটা যেভাবে হয়েছিল তাতে শংকা ছিল অনেক। প্রথম দিন শেষে সে শঙ্কাটা দূর করে দেন নাফীস আর সাকিব। গতকাল দুপুরের বিরতিতে যখন সাকিব আর মুশফিক সাজঘরে যান তখনও আশার বেলুনে বাতাস ছিল অনেক। কিন্তু সাকিবের রান আউটের পর বাতাস বের হয়ে যায় অনেক। যদি মুশফিকের ভুলে সাকিব (১৪৪) রানআউট না হতেন তাহলে সাকিবের নামের পাশে ডাবল সেঞ্চুরিও লেখা হতে পারতো। এরপর যদি মুশফিক টেস্টে ৯ম ফিফটির সামনে দাঁড়িয়ে ৪০ রানে আউট না হতেন তাহলেও স্কোরটা আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। কিন্তু তারপরও না পাওয়ার এ সিরিজে দেড় দিন টিকে থাকাটাও অনেক ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগের দিন পাক বোলার চিমা বলেছিলেন, ‘উইকেটে বোলারদের জন্য অনেক কিছু আছে। আমরা দ্বিতীয় দিনের সকালেই দ্রুত উইকেট তুলে নিতে চাই।’ প্রথম দিনের সকালে যা হয়েছিল কালও তা হতে পারতো। কিন্তু সাকিব-মুশফিকের ৬ষ্ঠ জুটি তা হতে দেয়নি। কষ্ট করে হলেও দুই ব্যাটসম্যান ক্রিজে টিকে ছিলেন। কিন্তু সাকিবের অনাকাঙ্খিত রান আউটের পর ইনিংসটি এত তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাবে তা ভাবেননি কেউই।  ৩০৫ রানে ৫ উইকেট থেকে ৩৩৮ রানে অলআউট। তাও শাহাদত ২ চার আর এক ছক্কায় ২১ রান না করলে স্কোরটা আরও কম হতো। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। সর্বোচ্চ ৩৬১ রান করেছিল বাংলাদেশ ২০০৩ সালে পেশোয়ারে। তবে দেশের মাটিতে এর আগে সর্বোচ্চ স্কোর চট্টগ্রামে গত টেস্টে করা ২৭৫ রান। এটিও একটি অর্জন বলা যায়। চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজকে বিদায় বাংলাদেশ শিবিরে খানিকটা আনন্দ যুগিয়েছিল। এরপর দর্শকদের সময় কেটেছে নিরানন্দেই। পেসার নাজমুলের বলে উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে বন্দি হন হাফিজ। অপর ওপেনার তৌফিক উমর এবং আজহার আলী মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন। এরা অপরাজিত যথাক্রমে ৪৪ ও ২৬ রানে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ২৫১ রান দূরে। যদিও এক উইকেট না হয়ে হতে পারতো তিন উইকেট। নাজিমউদ্দিনের আজহার আলীর ক্যাচ মিস ছাড়াও আম্পায়ার নিশ্চিত দুইটি এলবিডব্লিউর আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন। যদি ৩ উইকেটে ৮৭ রান লেখা হতো, তাহলে বলা যেতো ঢাকা টেস্টে চালকের আসনে বাংলাদেশ। কিন্তু এখন কোন দলই এ কথা বলতে পারছে না  যে আমরা চালকের আসনে। আজ সকালে যদি দ্রুত কয়েকটি উইকেটের পতন ঘটানো যায় তাহলে পাকিস্তানের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ সাময়িকের জন্য হলেও বের হয়ে যাবে। আর পাকিস্তান যদি উইকেট ধরে রেখে বড় জুটি গড়তে পারে তাহলে ঢাকা টেস্ট অতিথি দলের হাতেই চলে যাবে। অনেক কিছুই হতে পারে। তবে আবহাওয়া ঢাকা টেস্টে বড় একটি ভূমিকা রেখে চলেছে। উভয় দলই স্বীকার করেছে এটি। প্রথম দিনেই ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে ম্যাচ শুরু হয় কুয়াশার কারণে। তাতে ২২ ওভার খেলা হয়নি সেদিন। আর গতকাল আলোক স্বল্পতার কারণে ২৪ ওভার বাদ রেখেই বেল তুলে নেন আম্পায়ারদ্বয়। দুই দিনে মোট ৪৬ ওভার খেলা হয়নি। আরও তিন দিন খেলা বাকি। হিসাব অনুযায়ী গত দুদিনের মতো কুয়াশার কারণে যদি ম্যাচ দেরিতে  শুরু হয় তাহলে গড় হিসাবে ১ দিনের (৯০ ওভার) খেলা মাঠে গড়াবে না। ফলে বাংলাদেশ একটু চেপে খেলতে পারলেই এই টেস্ট ড্র হতে
Ruby