বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১২

লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গো-হাট ইজারা ভাগাভাগির পায়তারা !

বাঘা নিউজ ডটকম, আকতার হোসেন অপূর্ব, নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের সিংড়া পৌরসভার গো-হাটের ইজারা নিয়ে ভাগাভাগি করে নেওয়ার পায়তারা করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা। গত ১৫ই ডিসেম্বর ইজারা নং ২/২০১১-১২,দরপত্র কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর সিংড়া গো-হাট, হাটবাজার,মৎস আড়ত আহবান করেন। সর্বোচ্চ দরদাতা মামুন আল-রাজীকে বাদ দিয়ে পৌরসভার  প্যানেল মেয়র ও দরপত্র কমিটির সদস্যদের যোগসাজসে গোপনে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া সম্পূর্ন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ইতি মধ্য মামুন আল রাজিকে  দরপত্র তোলে নেওয়ার  জন্য বার বার চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে সত্যতার স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরপত্র কমিটির এক সদস্য জানান, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ন হলে গতবারের ইজারার ডাক মূল্য ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে গো হাটের  ইজারা ভাগাভাগি হবে। এতে করে সরকার প্রায় ৭ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে,  গত বুধবার ৪ জানুয়ারী সিংড়া পৌরসভার গো-হাট,মৎস্য বাজার ও হাটবাজার দরপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিলো। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে গো-হাটে ৫ জন, হাটবাজারে ৫ জন ও মৎস্য হাটে ২ জন দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে গো-হাটে দরদাতা আঃ রহিম এর বিডির টাকার পরিমান কম থাকায় তার দরপত্রটি বাতিল হয়ে যায়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে মামুন আল রাজীর দরপত্রটি গৃহীত হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ৩৩ লক্ষ ৩০হাজার সর্বোচ্চ দরদাতা মামুন আল রাজীকে বাদ দিয়ে কম টাকায় গো-হাটের ইজারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ সমর্থীত প্যানেল মেয়র আদনান মাহামুদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে দরপত্র কমিটির সদস্যদের যোগসাজসে সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গো-হাটটি দরপত্র দাখিলকারীদের বাদ দিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগদের দেওয়ার পায়তারা করছে। অপরদিকে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছায়েদ আলীর পুত্র সর্বোচ্চ দরদাতা মামুন আল রাজীকে দরপত্র তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা । দরপত্র তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকী দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঐ ঠিকাদার ।
এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে দরপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি অস্বীকার করে মামুন আল রাজী জানান, পৌরসভার হাটবাজারগুলো বেশি দরে ইজারা দিলে তাতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে। কিন্তু প্যানেল মেয়র আদনান মাহমুদ তার নিজ দলীয় লোককে ইজারা প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ দরদাতাদের বাতিল করেছে। আমি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে  জামানত জমা দিয়েছি অথচ আমাকে বাদ দিয়ে সরকারী অর্থ লুটপাট করার জন্য জোর করে হাট  নেওয়ার পায়তারা করছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর জানান, আইনের উর্ধে কেউ নয়, সর্বোচ্চ দরদাতাকেই গো-হাট দেওয়া উচিৎ। প্যানেল মেয়র আদনান মাহমুদ এর ছেলে আরিয়ান মাহমুদ অর্থ নামে গো-হাটের দরপত্র  দাখিল করেন।
বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে প্যানেল মেয়র আদনান মাহমুদ জানান, সর্বোচ্চ দরদাতা ঠিকাদার আব্দুর রহিম ও তার নিকটতম দরদাতা মামুন আল রাজী নিজ উদ্যোগেই তাদের দরপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে সলেমানকে ইজারা প্রদানের সাময়িক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিংড়া পৌরসভার সচিব আঃ মতিন বলেন, দরপত্র কমিটির আমি একজন সদস্য তবে দরপত্র কমিটির  মোট কয়জন সদস্য তা আমার জানা নেই।
দরপত্র কমিটির  সভাপতি ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হেনা গোলাম মোস্তফার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় এসেছি এ ব্যাপারে এখন কিছুই এখন কিছুই বলতে পারবোনা।
সিংড়া পৌরসভার মেয়র শামিম আল রাজির ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ৩৩ লক্ষ ৩০হাজার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মামুন আল রাজী রয়েছেন । তবে আমি শুনেছি ,স্থানীয় আ’লীগ নেতা কর্মীরা গো-হাট ইজারা ভাগাভাগী করে নেয়ার চেষ্টা করছে।
Ruby