, জি.এম. মিন্টু, কেশবপুর(যশোর) :: এবারও সাগরদাঁড়ীর মধুমেলায় অশ্লিলতা চলছে। জাতীয়, আঞ্চলিক পত্রিকায় অতীতে বিষয়টি নিয়ে বহু লেখালেখি, ছবি প্রকাশ হয়েছে। অশ্লিলতার দায়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রা, পুতুল নাচ, যাদুর প্যান্ডেলগুলো উচ্ছেদ করেছেন। কিন্তু চিরতরে নির্মুলের কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়েছিল, অশ্লিলতার অনুমোদন আর নয়, কিন্তু ফলাফল শূন্য। সাগরদাঁড়ীর মধুমঞ্চে পান্ডিত্যপূর্ণ আলোচনায় একদিকে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় মধুসূদনের সৃষ্টিকে জীবনপাথেয় করার সকাতর আবেদন। অন্যদিকে যাত্রা, পুতুল নাচ, যাদু, ভ্যারাইটি শো’ জুয়া বোর্ডের নামে উঠতি বয়সি প্রজন্মকে চটি সাহিত্যে আকৃষ্ট করতে টিকিট কেটে রমরমা ব্যবসা চলছে। দৈত স্বত্বার এ আয়োজন নতুন প্রজন্মের কাছে কি ফলাফল নিয়ে আসবে তা নিয়ে মধু গবেষকরা উদ্বিগ্ন।
রবিবার রাত ৯টার পর সরেজমিন মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মূলমঞ্চে জাতীয় ও স্থানীয় বরেণ্য ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে মদূসূদনের সৃষ্টি নিয়ে বুকফুলানো আলোচনা। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, পল্লী কবি জসিমউদ্দীনসহ হাজারও গুনিজন বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁদের জীবন ও সৃষ্টি আলোচনা করলে বুক গর্বে ভরারই কথা।
মধুমঞ্চের দক্ষিণদিকে কয়েকশ গজ দূরেই যাত্রা প্রতিমা অপেরা, ঢাকা মডার্ণ যাদু প্রদর্শনী, ঢাকা ডিজিটাল যাদু প্রদর্শনী ও বাংলাদেশ চলচিত্র, চলচিত্র বিষয়ক ও বিচিত্রানুষ্ঠান, অদৃশ্য ডিজিটাল যাদু, ডিজিটাল যাদু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র অনুষ্ঠান, চলচিত্র নায়ক নায়িকাদের সমন্বয়ে যাদু প্রদর্শনী, বিচিত্রানুষ্ঠান ও মডেল তারকাদের নৃত্য পরিবেশন ‘ভ্যারাইটি শো চলে যাবে স্মৃতি পড়ে রবে’, ইত্যাদি চটকদার নামে চলছে অপসংস্কৃতি চর্চা। যা মধুসূদনের জন্মবার্ষিকীতে একেবারেই বেমানান। শুধু বেমানান নয়, তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধাও বটে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেল, মেলার মাঠ বিক্রি হয়। এবার ১২লক্ষ টাকায় ইজারাদার কিনে নিয়েছেন। টাকা তুলতে এই আয়োজন। গরুহাট কিনে ইজারাদার যেমন লোকসান গুনতে চান না, মধু’হাট কিনেও যেন লোকসান গুনতে না হয়, তাই বাড়তি সতর্কতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রা, ডিজিটাল যাদু ও ভ্যারাইটি শো’র কয়েকজন জানালেন, ৭দিনের জন্য প্রতিটি প্যান্ডেল ১লক্ষ টাকায় কিনেছি। যাদু কেউ দেখে না! তাই মেয়ে ভাড়া করে নাচাচ্ছি। অশ্লিল নাচ কেন? প্রশ্ন করতেই উত্তর ‘টাকা তুলতে হবে না! যাত্রার সাথে প্রতি রাত ৫০হাজার টাকা চুক্তি। তারপর চমকে উঠার মত সংবাদ, দেশ জাতির অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণ ফান্ড তৈরীর জন্য এবারের আয়োজন। যা লাভ হবে সবই মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় হবে। তবে বিশ্বাস করিনি। কারণ,‘মা ভাবনা কেন… আমরা হারব না হারব না, তোমার মাটির একটি কনাও ছাড়ব না…আমরা পাঁজর দিয়ে দূর্গখানা গড়তে জানি… আমরা বীরের মত জীবন দিয়ে মরতে জানি….। এঁরা হলেন দেশ মাতৃকার গর্ব, নতুন প্রজন্মের অহংকার আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা। পাকিস্থানী হানাদার, রাজাকার আলবদররা আমার দেশের মা-বোনদের তুলে নিয়ে, নির্যাতন করে জোরপূর্বক সম্ব্রম লুট করেছে। জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে মা-বোনদের ইজ্জত ফিরিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। তারা কখনই স্বাধীন দেশের মাটিতে টিকিট কেটে মা-বোনদের নাচিয়ে কল্যাণ ফান্ড তৈরী করতে পারেন না। মুক্তিযোদ্ধা নাম ব্যবহার করে যারা এগুলো করছে তাদেরকেও গোলাম আযম, সাইদী, মুজাহিদদের পাশাপাশি বিচার করা উচিত।
কেশবপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ মীর রেজাউল হোসেন রেজা জানান, অশ্লিলতার প্রমাণ অথবা ছবি দেখাতে পারলে অন্যবারের মত সাথে সাথে উচ্ছেদ করা হবে। ইউএনও খাঁন মোঃ রেজা-উন-নবী জানান, প্রত্যেক প্যান্ডেলে আইন শৃঙ্খলা