পিরোজপুর :: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির (৪০ দিনের কর্মসূচি) নামে পুকুর চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের দেয়া লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্ব স্ব এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সহায়তায় একটি কুচক্রি মহল। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের শুধু মাত্র সদর ইউনিয়ন বাদে অন্য ৬টি ইউনিয়নেই ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। কোন কোন ইউনিয়নে এত বেশী অনিয়ম হয়েছে যে, সে সকল এলাকার সচেতন মানুষ এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উপজেলার তেলিখালী, নদমুলা শিয়ালকাঠী, ধাওয়া, গৌরীপুর, ভিটাবাড়ীয়া ও ইক্ড়ি এ ৬টি ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসুচির গৃহীত ২২টি প্রকল্পের আওতায় সদর ইউনিয়ন সহ ৭ ইউনিয়নে সর্দারী সহ প্রায় ৭২ লক্ষাধিক টাকা ২০১১/১২ অর্থ বছরে জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। কাগজে কলমে ৩৫৫ জন মহিলা ও ৬৬৭ জন পুরুষ সহ মোট ১০২২ জন শ্রমিকের ৪০৮৮০ কর্ম দিবসে ১৪৩০৮০০ ঘন ফুট রাস্তার কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে শিকি ভাগ কাজ করে ৭২ লক্ষ টাকাকে ডিজিটাল কায়দায় চুরি করেছেন প্রত্যেক এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের সহায়তায় একটি কুচক্রি মহল। এ মহলটি শুধু কাজের সর্দারী বাবদ হাতিয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। এ জালিয়াতির সাথে সংশ্লিষ্ঠ এলাকার ট্যাগ অফিসাররাও জড়িত। প্রত্যেক ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসারদের সাথে এ ব্যপারে আলাপকালে তাদের কথায় গড়মিল পাওয়া গেছে, তারা জানান সময় সল্পতার কারনে প্রত্যেক দিন তারা এলাকায় জেতে পারেননি, আর এলাকা ঠিক মত না চেনার কারনে সরেজমিনে যাওয়ার আগে চেয়ারম্যান মেম্বরদের সহায়তা নেয়ার কারনে যে কয়দিনওবা এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছি সে সময় তারা তাদের লোকজন সঠিক ভাবে তৈরী রাখত, তখন আমরা কাগজে স্বাক্ষর করে আসতাম।
এদিকে এ প্রসঙ্গে একাধিকবার ইউনিয়নে এ সংক্রান্ত অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নদমুল্লা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল কবির বাবুল তালুকদার, ইউপি সচিব আঃ আলীম (দিপু আকন)ও ট্যাগ অফিসার মোঃ রনু আহম্মেদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের ৩০৪৫০০/= টাকা আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন ঐ ইউনিয়নের ৯ জন পুরুষ ও মহিলা ইউপি সদস্যরা। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উপজেলার সদর ইউনিয়ন ছাড়া অন্য ৬ ইউনিয়নে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মতিউর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইটি বন্ধ পাওয়া যায়। একই প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুর রশীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন। এ ব্যপারে পিরোজপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ শাহআলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এ ব্যপারে আমার কাছে আভিযোগ আসার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।