জানাগেছে ,গত শুত্রুবার ৪ টার দিকে শেরপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা হারুন অর রশিদ ও আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মিলে যুবলীগ নেতা হারুনের শ্বশুড় সারোয়ারকে নিয়ে হাসপাতালে যায় এবং তার হাতের আঙ্গুল আঘাত লেগে ফেটে গেলে শেরপুর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ডাক্তার না থাকায় আরেক ডাঃ আমিরুল হোসেন চৌধুরী তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় । এক প্রসঙ্গে হাসপাতালের ডাক্তারদের উপস্থিত-অনুপুস্থিতি নিয়ে যুবলীগ নেতা হারুন ও জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা স্বাস্থ পঃপঃ কর্মকতা ডাঃ ফারুক সুলতান সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতারা তার উপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ ও মেডিকেল সরমঞ্জমাদি তছনছ করে এবং তাকে কিলঘুষি মেরে হাসপাতালের বাহিরে নিয়ে আসে। এ অবস্থায় আশে পাশের লোকজনের হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয় ।
এঘটনায় গত শুক্রবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ফারুক সুলতান বাদী হয়ে দুই যুবলীগনেতাসহ অজ্ঞাতনামা ৫জন আসামী করে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের ভাতিজা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ(২২) কে আটক করেছে। তিন ঘন্টা পরে তাকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হাসপাতালের সৃষ্ট ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ মোস্তফা আলম নান্নুসহ নেতৃবৃন্দ শেরপুর হাসপাতালে এসে বিস্তারিত ঘটনা শোনেন এবং শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আলম প্রধান, শেরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব আম্বিয়া,আওয়ামীলীগ নেতা ফজলে ইমাম টুলু, আব্দুল মতিন সিদ্দিকী মতিন সহ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিনে চাকুরী রত মাঠকর্মীদের সামনে প্রকাশ্যে যুবলীগ নেতা উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তার পা-ধরে এবং সবার উদ্যেশে দুই হাত তুলে করো জোড়ে তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চান।
এব্যাপারে বগুড়া বিএমএ শাখার সভাপতি ডাঃ মোস্তফা আলম নান্ন বলেন, সৃষ্ঠ ঘটনাটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তবে ভুলের উর্দ্ধে কেউ নয়। তাই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে স্টাফদের কোন কর্মবিরতীর কোন সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি।
