শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

গোপালগঞ্জে ভূয়া পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ায় দু’শিক্ষকের জরিমানা


গোপালগঞ্জ অফিস :: গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভূয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে দাখিল পরীক্ষা নেয়ার অপরাধে দুই মাদ্রাসার দু’শিক্ষকের নগদ অর্থ জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। উপজেলার দু’টি মাদ্রাসায় ২০ জনকে পরীক্ষার্র্থী বানিয়ে ভুয়া নাম-ঠিকানায় পরীক্ষা দেওয়ানোর অপরাধে মাদ্রাসার ওই দু’শিক্ষককে বৃহস্পতিবার রাতে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করে ভ্রাম্যমান আদালত গঠন করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুজ্জামান উপজেলার পাচুড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক নিজামুদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা এবং পাছড়া আসলাম মুন্সী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিমকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
জানাগেছে, অর্থদন্ড প্রাপ্তরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে ভুয়া নাম ঠিকানায় রেজিষ্ট্রেশন ও দাখিল ফরম পূরন করতেন। তারপর কিছু ছাত্রদের দিয়ে ভুয়া নাম-ঠিকানায় পরীক্ষা দেয়াতেন। তারা পাশ করলে ফেল করা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে তাদের নাম-ঠিকানা বোর্ডে পাঠিয়ে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের নাম-ঠিকানার বিপরীতে নাম-ঠিকানা সংশোধন করিয়ে আনতো। শিক্ষক মোঃ নিজামুদ্দিন পাচুড়িয়া মাদ্রাসা থেকে ১৯ জনকে এবং শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম পাচড়া মাদ্রাসা থেকে ১ জনকে ভুয়া পরীক্ষার্থী সাজিয়ে দাখিল পরীক্ষা দেয়াচ্ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুজ্জামান বলেছেন, বিষয়টি বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিস অবগত হবার পর ওই দু’শিক্ষককে ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। পরে পাবলিক পরীক্ষা আইন (অপরাধ) ১৯৮০ এর ৩ এর খ এর ১২ ও ১৩ ধারা অনুযায়ী ওই দু’শিক্ষককে নগদ অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ভুয়া পরীক্ষার্থীরা আর পরীক্ষা দিতে পারবেনা বরং তাদের পাওয়া গেলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।
Ruby