শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

জনতার রষানলে ডাক্তার পালায়নঃ নওগাঁয় ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু


মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: নওগাঁ শহরস্থ দয়ালের মোড়ে ইসলামিক হাসপাতালে বুধবার রাত ৮দিকে ডাক্তারের ত্র“টি যুক্ত অপারেশনে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়, জেলার মান্দা উপজেলার গণেশপুর গ্রামের শামসুল আলম তার স্ত্রী লাবনি (২০) ইসলামিক হাসাপাতালের ডাক্তার ফাতেমা কামরুন নাহারকে গর্ভবর্তী অবস্থায় বহু পূর্ব থেকেই চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন। গত ১১ ফেব্র“য়ারি তারিখে ডাক্তার ফাতেমা কামরুন নাহার ঐ রোগীকে পরীক্ষা করে বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ গত ১৫ই ফেব্র“য়ারি নির্ধারণ করে দেয়। ডাক্তারের কথা মতো ঐ দিন রোগী ইসলামিক হাসাপাতালে ভর্তি হয় এবং রাত্রী আনুমানিক ৮টার সময় রোগীর সিজার করে মৃত শিশু প্রসব দেখায়। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে ঐ রোগীর স্বামী শামসুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, অপারেশনের পূর্ব মূর্হুত পর্যন্ত রোগীর পেটে শিশু নরাচড়া করছিল। যদি শিশু মৃত হবে তাহলে নরাচড়া কিভাবে সম্ভব হয় আর এছাড়া ডাক্তার মরা শিশু অপারেশন কি ভাবে করে। উক্ত সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকার উত্তেজিত কয়েক শত লোকজন ইসলমিক হাসপাতালে ভির জমায় এবং ঐ ডাক্তারকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। হাসাপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ডাক্তার অবস্থা বেগতিক দেখে নওগাঁর অজ্ঞান বিষয়ক ডাক্তার ইসকেন্দার হোসেনের সহায়তায় এ্যাম্বুলেন্স যোগে পুলিশ প্রহরায় হাসপাতাল থেকে সু-কৌশলে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা হাসপাতাল ঘেরাও করে রাখলে হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তাকে ঐসময় পাওয়া যায়নি। ঐ নবজাতক শিশুর শরীরে বিভিন্ন ক্ষত চিহ্ন থেতলানো মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাত্ত অবস্থায় দেখা যায়। ডাক্তার ফাতেমা কামরুন নাহার সহ ইসলামিক হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করে ও কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য ডাক্তার ফাতেমা কামরুন নাহার নওগাঁ সদর হাসপাতালে গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট হিসাবে দীর্ঘ দিন যাবত কর্মরত আছেন। এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুর রহমানেরর সঙ্গে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।# 

Ruby