বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

নাটোরের বড়াইগ্রামে অজ্ঞাতরোগে হাজার হাজার মুরগীর মৃত্যু

আকতার হোসেন অপূবর্, নাটোর প্রতিনিধি :: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় অজ্ঞাতরোগে লেয়ার জাতের হাজার হাজার মুরগী মারা যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগও এ রোগের উপযুক্ত কারণ নির্ণয় ও সঠিক চিকিৎসা দিতে পারছে না। এতে উপজেলার মুরগী খামারীদের পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বড়াইগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬৫টি লেয়ার (ডিম দেয়া) মুরগীর খামার রয়েছে। গত এক সপ্তাহ যাবৎ এসব খামারে অজ্ঞাত রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। সঠিক রোগ নির্ণয় করতে না পারায় আক্রান্ত মুরগীকে কোন চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে খামারগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মুরগী মারা যাচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত মুরগী মাথা ফুলিয়ে রাখে, কোন খাবার খেতে পারে না। রোগাক্রান্ত হওয়ার ১ থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে মুরগী মারা যায়। তাছাড়া ব্যাপকহারে মুরগী মারা যাওয়ায় বর্তমানে খামারীরা অবশিষ্ট সুস্থ মুরগীগুলোও কম দামে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে উপজেলার মুরগীর খামারগুলো বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে উপজেলার মুরগী ফার্মের মালিকদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এদিকে, ব্যাপকহারে মুরগী মারা যাওয়ার কারণে ডিমের সরবরাহ কম থাকায় বাজারে ডিমের দাম আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।
রামেশ্বরপুর গ্রামের নির্ঝর পোল্ট্রি এন্ড ফিশারিজের মালিক সরোয়ার হোসেন পিঞ্জু বলেন, গত ৪/৫ দিনে আমার মোট ২৩০০ মুরগী মারা গেছে। পরে খামারের অবশিষ্ট ৪ হাজার মুরগীও কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি। কি রোগে এসব মুরগী মারা যাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। এতে আমার কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
লক্ষীকোল বাজারের মুদি দোকানদার বরুণ কুমার কুন্ডু জানান, এক সপ্তাহ আগে বাজারের প্রতি হালি ডিম বিক্রি হতো ২৬-২৭ টাকায়। এখন তা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অজয় কুমার কুন্ডু জানান, লক্ষণ কিছুটা রাণীক্ষেত রোগের মত হলেও মুরগীগুলো কি কারণে মারা যাচ্ছে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি সঠিকভাবে জানার জন্য আমরা মৃত মুরগী সংগ্রহ করে সরকারী রোগ নির্ণয় পরীক্ষাগারে পাঠাবো।
Ruby