মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১২

সুলতানা সোনিয়ার ৩ টি কবিতা


ফাটল
সুলতানা সোনিয়া:
ভেঙ্গে যাবার অনেক আগেই তাতে ধরেছিল ফাটল !
চেষ্টা করেছি বৃথাই ……বারবার জোড়া লাগানোর !
জোড়াতালিতে কেটেছে অনেকটা সময় !
নবজাতকের কান্নার মতো ………
কেঁদে কেঁদে লুটিয়ে পড়েছি তোমার বুকে !
তুমি না বোঝার ভান করেছো ,তাকিয়েছ অন্যদিকে !
বোকা মন বারবার করেছে জ্বালাতন ….
নিজের মধ্যে নিজেই মরেছি অনুক্ষন !
শেষটাই এমন হোল যে …দুজনের রাস্তাই দুদিকে গেছে বেঁকে !
জীবনের ধারা কখন কিভাবে বদলে গেছে এক পলকে ,কেউ তার রাখিনা খোঁজ !

অবাধ্য কষ্ট
সুলতানা সোনিয়া :
জানি তুমি তো আমার নও !!
তোমার ভালোবাসায় আজ জমেছে পলি …
একরাশ মৌনতায় তুমি !!
অন্য কারো রাজ্যের অধিপতি তুমি ..
ভালোবাসার আগুন বুকে ধারন করে
ফিরে আসি আপন নীড়ে !!
কি হবে তোমার সাজানো বাগান এলোমেলো করে ?
শুধু চুপিচুপি দেখে আসি মুখখানি তোমার !
যদিওবা ইচ্ছা করে হাতখানি রাখি তোমার হাতের পরে !
ইচ্ছা করে মুখখানি ধরে দেখে নেই তোমার চোখের গভীরে
আজো আঁকা আছে কিনা আমার ছবি !
তারপর ফিরে আসি নিজের ভুবনে
কাটিয়ে দেই সকাল বিকাল সারাটা বেলা !
সারাটা জীবন তুমিহীন !
তবু কেন জানি আমার অবাধ্য কষ্টগুলো ………
আমাকে জানান দেয় বারবার ….
কেন আমি ভালবেসেছিলাম !
পরিশুদ্ধ
নিজেকে চিনেছি নদীর টলমলে জলের মতন ,
শুদ্ধ ঘ্রানে পরিশুদ্ধ হয়ে বেড়ে উঠেছি ।
আমার অনুভূতির অজস্র ছন্দহিন অগোছালো কবিতা ,
এলোমেলো ভাবে মস্তিষ্কের ধূসর ছাই দানিতে পরে ছিল ।
পায়নি কোনোদিন আলোর মুখ !
ফোটেনি কাগজে কলমে তার ভাষা !
চাঁদ রাতে মৌন হয়ে নীরবে গেঁথে গেছি কতশত গান ।
সেই গান কখনো বিদ্রোহী কণ্ঠে মুক্তির পথ খুঁজেনি !
বুকের যত অদম্য বাসনা কে গলা টিপে মেরে ফেলেছি
মুখ ফুটে বলবার আগেই !
বিবাগী মন নিয়ে সুশীল হাওয়ায় শীতল আসন পেতে বসে থেকেছি চুপচাপ !
আমার সরল প্রেম কে নির্দ্বিধায় বলি দিয়েছি নীরবে ।
এই সমাজ বারবার আমাকে মনে করে দিয়েছে আমি নারী
চার দেয়ালই নাকি আমার বাড়ি !!
Ruby