সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১২

চারঘাটে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক :: এসেছে ঋতুরাজ বষন্ত । বষন্তের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে  চারঘাট উপজেলার আমগাছ গুলোর দিকে তাকালে । হলুদ  মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আম গাছ গুলো । যেন প্রকৃতির রাজকন্যা হলুদ শাড়িতে বেড়াতে এসেছে আমের দেশ চারঘাটে । বর্তমানে রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার একমাত্র অর্থকারী ফসল আম । এক সময় শুধুমাত্র শখের বশে বাড়ির আঙ্গিনায় দুই একটি আম গাছ লাগালেও এখন  জীবন-জীবিকার জন্য প্রধান আয়ের উৎসে পরিনত হয়েছে আম চাষ। যে জমিতে আগে বিভিন্ন খাদ্য শষ্য উৎপাদিত হতো সেই জমিতে বর্তমানে উন্নত জাতের আম উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা । সার,জ্বালানী ও বীজের অধিক মুল্যবৃদ্ধি,  অপ্রতুলতা,তাছাড়া উৎপাদিত খাদ্য শষ্যের সঠিক মুল্য না পাওয়ায় আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চারঘাটের কৃষকরা । গাছে মুকুল আসতে না আসতেই আম চাষীরা সারা বছরের আয়Ñব্যায়ের খাতা খুলতে শুরু করেছে । সেই সাথে বেড়ে যাচ্ছে আম চাষীদের ব্যস্ততা ।

মধ্য ফাল্গুন হতে মধ্যচৈত্র মাস আম গাছে মুকুল আসার উপযুক্ত সময় । এ সময় ফসলী জমিতে তেমন কোন খাদ্য শষ্য না থাকায় সদ্যফুটন্ত আম মুকুল কীটপতঙ্গের প্রধান খাদ্যে পরিনত হয় । কীট পতঙ্গের আক্রমন থেকে মুকুলকে রক্ষা করতে এ সময় কৃষককে আম বাগানে অতন্দ্র প্রহরীর মতো দৃষ্টি রাখতে হয় যেন ক্ষতি কারক কীট পতঙ্গ মুকুলের কোন ক্ষতি করতে না পারে ।

চারঘাটে আম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত রায়পুর,চারঘাট(বাবুপাড়া )বাঁকড়া,ডাকড়া,ভায়ালক্ষীপুর,পরানপুর,নন্দনগাছি গ্রাম সহ আরো কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি আম গাছ মুকুলে ভরপুর । কৃষকেরা ব্যাস্ত রয়েছে কীটনাষক প্রয়োগ করে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের হাত হতে মুকুলগুলো রক্ষা করতে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ২৫-৩০ কোটি টাকার আম উৎপাদন হতে পারে বলে জানান অভিঙ্গ আম ব্যবসায়ীরা । এ দিকে উপজেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন জানান, গত মৌসুমে ভারতীয় কীটনাশক ব্যবহার করায় আমরা কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির স্বীকার হয়েছি । তবে এ বছর ভারতীয় নিম্নমানের কীটনাশক বর্জন করেছি । দেশীয় ভাল কোম্পানীর কীটনাশকের ব্যবহার ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । তিনি আরও জানান চারঘাট বাসীর দীর্ঘেিনর দাবি,চারঘাটে একটি আম গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন করা হোক। গত সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান সংসদ সদস্য ওয়াদা করেছিলেন চারঘাটে একটি আম গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন করবেন । তিন বছর অতিক্রান্ত হলেও আম গবেষনা কেন্দ্র স্থাপনের  কোন লক্ষণ পাছ্ছি না।
Ruby