বুধবার, ৭ মার্চ, ২০১২

মালয়েশিয়ায় ৭ খুনের অপরাধে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশী নাগরিক মাসুদ রানা ও রেজাউল করিম

জীবন কৃষ্ণদেবনাথ, মালয়েশিয়া থেকে ফিরে :: গত ২৮ জুলাই ২০০১ ইং সালে নিজ বাসগৃহে আনুমানিক রাত ১.৪০ মিনিট থেকে ভোর রাত ৭.৪৫ মিনিটের মধ্যে একই পরিবারের ভারতীয় বংশ উদ্ভুত মালয়েশিয়ান নাগরিককে নির্মমভাবে খুন করা হয়। সূত্র জানায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুর থেকে ৫শ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত জোহরবারু এলাকায় যায় এই খুনের ঘটনা ঘটে। মালয়েশিয়ান খুনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে মালয়েশিয়ান হাইর্কোট গত ১৫ জুলাই বিচার প্রতি দাতুক আজাহার মাহমুদ এক শ্রমিকের মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। ঘটনায় নিহতরা হলেন এস. পেরু মাল সোপন (৪৯), গৃহকর্তার স্ত্রী মাংগানা গোরী কাতিরাবেলু (৪২) গৃহকর্তার বোন আমুডা বালী সুপ্রিয়া (৪৫) লেচমী সুপিয়ান (৬৫), রামাই এর বড় ভাই মুনিয়ান সুপিয়ান (৭১) আমুডাবালির কন্যা বানাগী বালা কৃষনান(১৭) একই পরিবারের উক্ত ৭ সদস্য খুন হওয়াতে পুলিশ প্রশাসন মালয়েশিয়ান আইন শৃঙ্খলা অনুযায়ী খুনিদের ধরতে ব্যাপক তৎপর হয়ে পড়ে। ফলে গত ৩০ শে জুলাই তামান জয়া ডেসা চেমেলাং থেকে এক জন বাংলাদেশীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকার উক্তি অনুযায়ী গত ২৩ রা আগষ্ট তার সহযোগী অপর বাংলাদেশীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এই হত্যাকান্ডটি সারা দুনিয়াকে ভাবিয়ে তোলে। সরজমিনে ঘটনাস্থল ঘুরে প্রবাসী শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে জানা যায় যে, উক্ত খুনের মূলনায়ক ফেনী জেলায় অবস্থান করেছে। অপরদিকে উক্ত ঘটনায় মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়ে মৃত্যুদন্ডের স্বীকার হয়েছেন অপর বাংলাদেশী শ্রমিক। বিচারপতি আজাহার মাহামুদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আসামিরা ই”্ছা করলে রায়রে বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে। উক্ত ঘটনার পর থেকে মালয়েশিয়া বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছেন বলে শ্রমিকরা অভিযোগ করেন। তবে মালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মন্দিরে শান্তির জন্য প্রার্থনাও কামনা ও সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ  জানানো হয়। যুব সমাজকে মন্দিরে পুরোহিতরা সহিংসতায় জড়িয়ে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে দোষী ব্যক্তি পুরোপরি মালয়েশিয়ান ভাষা না বোঝার কারণে খুন না করেও মৃত্যুদন্ডের স্বীকার হয়েছেন বলে অনেকের ধারণা। জানা যায় যে, দীর্ঘ দিনের প্রেম আর অর্থই হল এই হত্যাকান্ডের মূল কারণ। শ্রমিকরা আরও জানান প্রেমিক হত্যাকান্ডের মূল আসামি রেজাউল করিম র্দীঘ কর্ম জীবনে উর্পাজিত অর্থ ২৫০০০ হাজার রিংগিত (৪লক্ষ টাকার সমপরিমান) প্রেমিকার কাছে জমা রাখেন। পরে এই অর্থ ফেরৎ চাহিলে ২জনের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয় । উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার পরিকল্পনা কারীরা দলবল নিয়ে গত ২০০১ সালে ২৮ জুলাই মধ্যে রাতে বৈদ্যুতিক চালিত কারাত দিয়ে ঘুমের মাঝে পরিবারের ৭ সদস্যকে নির্মমভাবে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে। অবশেষে নিহতদের  লাশ  মালয়েশিয়ান সরকার জাতীয় মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে সৎকার্য সম্পন্ন করে।
Ruby