মুহাম্মাদ আল-আমীন হোসাইন, নাজিরপুর (পিরোজপুর) সংবাদদাতা :: পিরোজপুরের নাজিরপুরে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিত ওই যুবকের পিতা। নির্যাতিত ওই যুবক এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। জানা গেছে, উপজেলা যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা মোঃ নাজমুল হোসেন স্বপনের কর্মী উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের খলনি গ্রামের লিটন কর্তৃক স্থানীয় ইব্রাহীমের বোনকে উত্যক্ত করার ঘটনায় ওই ইব্রাহিম যুবলীগ নেতা স্বপনের কাছে বিচার দিলে গত শুক্রবার স্বপন বিচারের আশ্বাস দিয়ে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। এ সময় ইব্রাহীমের চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলাম শেখ যুবলীগ নেতা স্বপনের বিচার না মেনে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন স্বপন ও তার ক্যাডার বাহিনী ওই সাইদুল ইসলাম (২৫) কে ডেকে তার পরিচারিত স্থানীয় ক্লাবে নিয়ে জোড় করে সাদা কাগাজে স্বক্ষর রাখে এবং ক্লাবের সামনের বট গাছের সাথে সাইদুলকে ঝুলিয়ে ওই রাত ১০টা পর্যন্ত অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী অজ্ঞান অবস্থায় সাইদুলকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন স্বপনের সাথে কথা হলে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাইদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ থাকায় ক্লাবে বসে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তার বিচার করা হয়েছে মাত্র। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুল লতিফ মুন্সী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি খ্বুই মর্মান্তিক। ঘটনার বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে এবং গতকাল শনিবার এজাহার কপি পেয়েছি। আসামী গ্রেফতার চেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় ওই যুবলীগ নেতাসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনায় মামলা হলেও আসামিরা প্রকাশ্যে পুলিশের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
