সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১২

বাঘায় নাগরিক কমিটির সাথে যুবলীগের সংঘর্ষ,আহত ১৫

নূরুজ্জামান, নিজস্ব প্রতিবেদক ::  রাজশাহীর বাঘায় নির্বাচনের দাবিতে সংগঠিত নাগরিক কমিটির সাথে থানা যুবলীগ ও আ’লীগের একাংশর লোকজনের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের  ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দু’জন পুলিশ-সহ উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। গতকাল সকালে উপজেলার পুরাতন বাসটার্মিনাল এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে সামান্য সময় নিয়ে কিছু সংখক লোকজন মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
    স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল সোমবার সকাল ১০ টায় পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাঘা উপজেলা চত্বরে বাঘা পৌর সভা-সহ চারটি ইউনিয়ন বাজুবাঘা,পাকুড়িয়া , মনিগ্রাম ও গড়গড়ি ইউনিয়নে নির্বাচনের দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচীর আহবান করে উপজেলা নাগরিক কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক অবঃ লেঃ কর্ণেল রমজান আলী। এ জন্য তারা গত তিনদিন ধরে মাইকিং করে অসছিল। এদিকে হটাৎ করে দেশব্যাপী বিএনপির পরপর দু’দিন হরতাল আহবান করায় বাঘা থানা যুবলীগ ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলীর নেতৃত্বে গতকাল একই স্থানে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও হরতালের  বিপক্ষে সমাবেশ আহবান করে। এ সময় থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাগরিক কমিটিকে উপজেলার সামনে অবস্থান না নিয়ে বাঘা পুরাতন বাস টার্মিনালে অবস্থান নিতে বলা হয়।  সে মোতাবেক তারা সকাল ১১ টায় সেখানে অবস্থান নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাগরিক কমিটির লোকজন যখন ব্যানার নিয়ে বাসটার্মিনালে মানব বন্ধনের  প্রস্তুতি নিতে থাকে তখন বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী ও থানা যুবলীগ সভাপতি বাবুল ইসলামের  নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে একটি হরতাল বিরোধী মিছিল চলে আসে বাসটার্মিনালে। এ সময় নাগরিক কমিটির পক্ষে সাবেক পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে নতুন বাস টার্মিনাল এলাকা হতে বিশ-কিছুলোকজন চলে আসে মানব বন্ধন কর্মস্থলে। এরপর শরু হয়  দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা। এতে দু’জন পুলিশ সহ উভয় পক্ষে প্রায় ১৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়। আহতরা হলেন- ছাত্র নেতা রুবেল,যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম, কাজল, রাসেল,সাইফুল,লিটন, শামসুল,জিল্লুর ও পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও  দুরুল ইসলাম। 
এ ব্যাপারে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যে সময় হরতাল আহবান করেছে বিরোধী দল। তখন আ’লীগের একটি অংশ বিএনপি ও জামাতের লোকজন সাথে নিয়ে নির্বাচন ইশুতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালনে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, আমিও নির্বাচন চাই। তবে এভাবে নয়, প্রশাসন যে দিন নির্বাচন ঘোষনা দেবেন সেদিন নির্বাচন করবো।
এ প্রসঙ্গে নাগরিক কমিটির আহবায়ক(অবঃ)কর্ণের রমজান আলীর সাথে গত কাল দুপুরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে যুগ্ন আহবায়ক বাঘা থানা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমানুল হাসান দুদু বলেন, আমরা নির্বাচনের দাবিতে পূর্ব থেকে স্থান নির্ধারণ করে  প্রচারনা চালাচ্ছিলাম। কিন্তু আমাদের প্রগ্রাম নষ্ট করার জন্য বাঘা পৌর মেয়র  আক্কাস আলী থানা যুবলীগকে সাথে নিয়ে সমাবেশ ডেকে আমাদের স্থানে এসে কর্মসূচী পন্ডু করে দেয়ার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তার পরেও মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে বলে তিনি জানান।
সার্বিক বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহম্মেদ হাশমী বলেন, সংঘর্ষ এড়াতে সমাবেশের আগের দিন দু’গ্র“পকে স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। সেই সাথে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। এর পরেও অনাকাংখিত ভাবে দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। #
Ruby