বাঘা নিউজ ডটকম, মিজানুর রহমান বিপ্লব, ৬ ডিসেম্বর : সরদহমোক্তারপুর মোড়ে ট্রাফিক নেই, সার্জেন্ট নেই, নেই কোন প্রশাসনের লোক তবুও নাম তার ট্রাফিক মোড়। এমনই একটি মোড় রাজশাহীর জেলার চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়নের মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড় নামে খ্যাত স্থানটি। এ নিয়ে সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে নানা কাহিনী। মোক্তারপুর এলাকার বাসিন্দা আ’লীগের নেতা চারঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন,’’ চারঘাটের মোক্তাপুর ট্রাফিক মোড় কোন দিন কোন সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিলনা। কিন্তু তার পরেও এ স্থানটি ট্রাফিক মোড় নামে পরিচিত। এই স্থানটি দেশ স্বাধীনের পূর্বে মোক্তাপুর ঘোষপাড়ার মোড় নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখানে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ও সরদহ পুলিশ একাডেমী স্থাপিত হওয়ার পর দিক নির্দেশনার জন্য মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড়ে একটি আইল্যান্ড স্থাপন করে বিট্রিশ সরকার। ফলে রাজশাহীর সর্ববৃহত্তম এ দুইটি প্রতিষ্ঠানে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রিরা পরির্দশনে আসলে এখানে পুলিশ ব্যবস্থা করে প্রশাসন। আর এ কারনে সাধারন মানুষের মুখে মুখে উঠে আসে ট্রাফিক মোড়। এ থেকেই ঘোষপাড়া মোড় থেকে মোক্তারপুর ট্রাফিক মোড় নামকরন পরিচিতি লাভ করে। ট্রাফিক মোড় নামকরনের পরিচিতি লাভ করলেও অদ্যবধি এখানে কোন ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা হয়নি। ট্রাফিক মোড়ের আশে পাশে বড় বড় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ একটি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা রয়েছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা সহ স্থানীয় এলাকাবাসী মোক্তাপুর মোড়ে অবিলম্বে ট্রাফিক ব্যবস্থা দাবী জানান। কারন এই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী সহ স্থানীয় সাধারন মানুষ প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিনঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে। ফলে এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা অতিব জরুরী। তার পরেও কেন এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয় জনসাধারন বলেন,’’ এখানে ট্রাফিক শুধু নামেই । এখানে ট্রাফিক ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তা পাড়াপাড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এখানকার জনসাধারনকে। এ ছাড়া এ রাস্তা দিয়ে শত শত যানবাহন যাতায়াত করায় এবং বেপরোয়া ভাবে করিমন নসিমুন সহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
