বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

বাঘায় এবছর স্ব-উন্নয়নের জরিপে ৪৯০ নারী নির্যাতনের শিকার

,বাঘা নিউজ ডটকম, আমানুল হক আমান, বাঘা (রাজশাহী) ২১ ডিসেম্বর : রাজশাহীর বাঘায় এবছরে বে-সরকারি এক সংস্থার জরিপে ৪৯০ পারিবারিক নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবীর সহযোগিতায় স্ব-উন্নয়ন বাস্তবায়নে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের এ বছরের জানুয়ারী থেকে ১০ ডিসেম্ববর পর্যন্ত এক জরিপে জানা যায়, উপজেলার পাকুড়িয়া, বাজুবাঘা, বাউশা ও আড়ানী ইউনিয়নেন পারিবারিক নির্যাতনের শিকার ৪৯০ জন নারী। এর মধ্যে পাকুড়িয়ায় ১৫৩ জন, বাজুবাঘায় ৮৮ জন, বাউশায় ১৬০ জন ও আড়ানীতে ৮৯ জন। লিখিত অভিযোগের সংখ্যা ১৫৬টি। এর মধ্যে পাকুড়িয়ায় ৪৪টি, বাজুবাঘায় ৩২টি, বাউশায় ৪৭টি ও আড়ানীতে ৩৩টি। শালিসের মাধ্যমে মিমাংশা হয়েছে ১০০টি। এর মধ্যে পাকুড়িয়ায় ৩০টি, বাজুবাঘায় ৩৫টি, বাউশায় ১৭টি ও আড়ানীতে ১৮টি। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির আইনজীবীর মাধ্যমে ২টি নারী নির্যাতন মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলা ২টি বাউশা ইউনিয়নের। মামলা ২টি তাদের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। তবে যে হারে সমাজের নারী নির্যাতনের প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে অতিসত্তর এনজিওর পাশা-পাশি সরকারীভাবে কার্যক্রম গতিশীল এবং সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে এর প্রতিকার গ্রহণ না করলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। নারী নির্যাতনের উৎসব মুখ পরিবারিই বিভিন্ন ভাবে হচ্ছে এই নির্যাতন। তব্ েউপজেলার ৪টি ইউনিয়ন গুলোতে তালাক প্রাপ্ত মহিলাদের দেন মোহর না পাওয়া, সন্তানের অভিভাবক্ত না পাওয়া। এছাড়া শারীরিক, মানষিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারীরা। বেশির ভাগ অভিযোগই যৌতুকের কারণে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এছাড়াও রং কালো বলেও নারীকে নির্যাতিত হতে হচ্ছে পাষন্ড স্বামীর ঘরে। প্রভাষক মঞ্জুরূল আলম মাসুম বলেন, নারী নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এই উপজেলায়। এ ক্ষেত্রে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের কার্যক্রম আশানুরূপ। তবে আরোও গতিশীল করা দরকার। সাধারণ মানুষকেও সচেতন হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে উপজেলায় নারী নির্যাতনের মাত্রা আরোও বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে যে হারে নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাচ্ছে এনজিওর পাশা-পাশি সরকারী ভাবে প্রতিরোধ কার্যক্রম গতিশীল না করলে এবং সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে প্রতিরোধের উদ্দোগ গ্রহণ না করলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে এলাকার বিশেজ্ঞ মহলের ধারণা। পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা এ উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে ভিজিলেন্স টীম গঠন করে ওয়ার্ড পর্যায়ে ৫২ উপ-কমিটির মাধ্যমে পারিবারিক নারী নির্যাতন রোধে কাজ করে যাচ্ছি। প্রকল্প আইনজীবী এডঃ শামীম আক্তার মায়া বলেন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ প্রকল্পের নিকট নির্যাতিত নারীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকে ।

Ruby