মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১১

নওগাঁয় স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীর রাস্তা নির্মাণ

বাঘা নিউজ ডটকম, মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ ২০ ডিসেম্বর : নওগাঁ শহরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১ কি.মি. দীর্ঘ ওই রাস্তার মাটি কাটার কাজ প্রায় ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। রাস্তাটি নির্মিত হলে শহরের কমপক্ষে ১০টি মহল্লার ৩০ হাজার মানুষের যোগাযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ টাউনহলের পূর্ব পাশে নওগাঁ-ঢাকা মহাসড়ক থেকে মাঠের মধ্যে দিয়ে চকরামপুর পর্যন্ত এ সড়কটি নির্মাণের জন্য কদমতলি-রহমানিয়া রাস্তা কমিটি নামে স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করে তার মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, সদস্য সচিব বজলুর রহমান, সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ এবং সাবেক পৌর কমিশনার আব্দুল লতিফ শেখ জানিয়েছেন, নওগাঁ পৌর এলাকার ৫নং খতিয়ানভুক্ত ৩৪৯১ এবং ৩৪৪৭ দাগ নম্বরের সম্পত্তি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য পথ হিসেবে নির্ধারিত। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ ১৯৮০ সালের পর থেকে পৌরসভাসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আবেদন জানালেও কেউ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

অবশেষে প্রায় ৩০ বছর পর এলাকার সাধারণ মানুষজন নিজেরা চাঁদা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তাটি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। গত রোববার সকাল ৯টায় নওগাঁ পৌরসভার মেয়র মোঃ নজমুল হক সনি সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। তিনি এ সময় উদ্যোক্তাদের বলেছেন,রাস্তাার মাটি কাটার জন্য কোনো বরাদ্দ থাকে না। তারপরও তিনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ, রজাকপুর, ট্রাক টার্মিনাল দক্ষিণ পাড়া, গোলভান্ডার শরীফপাড়া, শিয়ালপাড়া, ম-লপাড়া, ঢাকা বাসটার্মিনাল, চশরামপুর, পিরোজপুরসহ কমপক্ষে ১০-১২টি গ্রামের মানুষের নওগাঁ শহরে যাতায়াতে সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এসব এলাকার মানুষদের অনেক দূর ঘুরে নওগাঁ শহরে যাতায়াত করতে হয়। তাই এই রাস্তাটি নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিও ছিল।

উদ্যোক্তারা আরো জানিয়েছেন, পুরো রাস্তাটির মাটির কাজ সম্পন্ন করতে প্রায় দেড় লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। স্থানীয় জনগণ চাঁদা তুলে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে এতো টাকা সংগ্রহ করা কঠিন হবে। তাই সরকারের যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করছেন তারা।
Ruby