বাঘা নিউজ ডটকম, মোঃ আককাস আলী, নওগাঁ প্রতিনিধি :: গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য কৃষি প্রধান বাংলাদেশে কৃষকদের কৃষি কাজের পরম উপকরন লাঙ্গল হারিয়ে যেতে বসেছে। আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের নানান যন্ত্রপাতি আবিষ্কারে চাষাবাদ পদ্ধতি অনেক সহজ হয়েছে। তারপরও হারিয়ে যেতে বসা লাঙ্গল নিজে তৈরী করে তা বিক্রির আশায় উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ঘুরে ঘুরে জীবিকা নির্বাহ করছেন উপজেলার বুজুরকান্তপুর গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের পূত্র গফুর আলী (৭৫)। বুধবার মহাদেবপুর উপজেলা সদরের হাটবার। হাটের শেষ প্রান্তে মহাদেবপুর- হাতুড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে কথা হয় বৃদ্ধ গফুর আলীর সাথে। তিনি জানান, প্রতি ১মন কাঠে ১টি করে লাঙ্গল তৈরি করা যায়। বাজারে ১মন কাঠ কিনতে তার খরচ হয় ১শ ৫০ টাকা। প্রতিটি লাঙ্গল হাট ও চাহিদা অনুযায়ী ২শ থেকে ৩শ টাকায় বিক্রি হয়। দিনে ২ থেকে ৩টি লাঙ্গল তৈরি করা যায়। কিন্তু এসব লাঙ্গল আর বিক্রি হতে চায় না। কোন কৃষককেও লাঙ্গল আর আগের মত কিনতে ভিড় জমাতে দেখা যায় না। তারপরও পূর্ব পূরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ ব্যবসা শত কষ্টের মাঝেও করে যাচ্ছি। গফুর আলীর স্ত্রী খকিনা বেগম অনেক আগেই মারা যান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে তার। তাদের সকলের বিয়ে হয়ে গেছে। গফুর আলী আরও বলেন, লাঙ্গল কৃষকদের কাজে আসলেও সময়ের আবর্তে তা যেন কৃষকেরা ভূলে যেতে বসেছেন। এরপরও গ্রামের কিছু কৃষকের বাড়ীতে এখনও পুরাতন লাঙ্গল থাকলেও তার ব্যাবহার নেই। তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবত এ ব্যবসা করে যাচ্ছেন। হাট বাজারে ২ যুগের অধিক সময় থেকে এই উপজেলার কোন হাটে তিনি ছাড়া আর কেউ লাঙ্গল বিক্রি করেননি বলেও জানান।