শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১২

নরসিংদী পৌর নির্বাচন মেয়র কামরুলকে শুভেচ্ছা জানাতে তার বাড়ীতে জনতার ঢল

আনোয়ার হোসেন স্বপন, নরসিংদী থেকেঃ নরসিংদী পৌর উপ নির্বাচনে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় কামরুজ্জামান কামরুলের বাড়ীতে এখন মানুষের ঢল নেমেছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকজন  তাকে তার বাড়ীতে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। গত ১৯ জানুয়ারী নির্বাচনের
পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত লোক তার বাড়িতে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ভিড় করছে। নরসিংদী পৌর সভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে কামরুজ্জামান কামরুল ২১ হাজার ৭৫৬ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন । তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ৮১৩ ভোট।
গত ১ নভেম্বর নরসিংদী পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র লোকমান হোসেন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন। এরপর মেয়র পদে আসনটি শূন্য হয়। নির্বাচন কমিশন ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করলে প্রয়াত  মেয়র লোকমান হোসেনের ছোট ভাই জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি লোকমান হত্যা মামলার বাদী কামরুজ্জামান কামরুল এ পদে প্রার্থী হন।   অপরদিকে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লোকমান হত্যামামলার জামিন প্রাপ্ত আসামী মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়াও প্রার্থী হন। এছাড়াও হাজী আফজাল হোসেন, আমজাদ হোসেন ভূইয়া, মোছাব্বির আহমেদ নাছির ও আরিফুল ইসলাম আরিফ  উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
বিজয়ী মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল লোকজনের শুভেচ্ছার জবাবে বলেন, নরসিংদীবাসী লোকমান হত্যার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। এই ভোট আমাকে নয় আমার ভাই জননেতা শহীদ লোকমানকে দিয়েছে। আমি লোকমান হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাব। বাংলার মাটিতে তাদের বিচার অবশ্যই হবে। নরসিংদীর সচেতন নাগরিক তাদের কঠোর শাস্তি দেখতে চায়।
প্রয়াত লোকমানের স্ত্রী তামান্না নুসরাত বুবলী বলেন, নরসিংদীবাসী আমার দেবরকে ভোট দিয়ে আমার স্বামী হত্যাকারীদের বিচারের পথ সুগম করে দিয়েছে। ইনশাআল্লা খুনিদের বিচার হবেই। খুনিরা কিছুতেই পার পাবে না। নরসিংদীবাসী আমার স্বামীকে ভালবাসার জ্বলন্ত প্রমান ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে।
নিহত লোকমানের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে লোকমান ছিলেন নরসিংদীবাসীর অতি প্রিয়নেতা। নরসিংদীর মানুষ তাকে দারুনভাবে ভালবাসতো। লোকমান আর কোন দিন আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না। কিন্তু তার স্মৃতি, ভালবাসা আমাদের মাঝে অক্ষয় ও অম্লান থাকবে।
তার ছোট ভাই নরসিংদী সরকারী কলেজের ভিপি ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম নেওয়াজ বলেন, সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত রুখে দিয়ে লোকমান হত্যাকারীদের বিচার অবশ্যই করা হবে। নরসিংদীবাসীর মাটি ও মানুষের প্রিয় মানুষ ছিলেন লোকমান হোসেন। তার মৃত্যু নেই। তিনি আমৃত্যু আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
Ruby