বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

কুড়িগ্রামে ৪মাস ধরে ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছে না

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম থেকে :: গত ৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে কুড়িগ্রাম জেলার ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মীরা মানবেতর দিনাতিপাত করছে। ন্যাশনাল সার্ভিসের অর্ন্তভূক্ত প্রায় ২৯ হাজার ৮’শ ৬৩ জন বেকার যুবক ও যুব মহিলা ৪ মাস ধরে বেতন না পেয়ে তাদের দূভোর্গ আরো চরমে উঠেছে। দরিদ্র, নিু ও মধ্যবৃত্তের যুবক ও যুব মহিলারা ধার-কর্জা করে সংসার চালালেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। বেকারত্ব ঘোচাতে ন্যাশনাল সার্ভিসে চাকুরীরত থাকলেও সঠিকভাবে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় তাদের ঋনের বোঝা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বেকাররা চির দিনে বেকার। তাদের মুখে হাসি আর জীবনে আশার আলো নেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১০/১২জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ন্যাশনাল সুবিধাভোগী বলেন, পুরো ৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছি না। ফলে এবারের বাসন্তি উৎসব করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া ন্যাশনাল সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পরায় সংসারে আর্থিক চাপ বেড়ে গেছে। এমনকি ছেলে-মেয়েদের স্কুলের বেতন দিতে পারছি না। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্দ আসে নাই। আমরা সব কাগজপত্র রেডি করে রেখেছি। বরাদ্দ আসা মাত্র বেতন দেয়া হবে। 

 রাজারহাটে হতদরিদ্রদের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের ১কোটি ৪৫লাখ ১৮হাজার টাকা বরাদ্দ

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম থেকে :: হতদরিদ্রদের ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের কাজের জন্য আবারো কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১কোটি ৪৫লাখ ১৮হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। এর পূর্বে ১৭’শ ২৯জন হতদরিদ্র ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচীর কাজ সফলতার সাথে সমাপ্ত করে। এবারেও ওই সব শ্রমিক ছাড়াও অতিরিক্তি ৩’শ ৪৫জন শ্রমিক নতুন করে নেয়া হচ্ছে। তবে পূর্বের শ্রমিকদের বাদ দেয়া হবে না। উক্ত টাকা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২হাজার ৭৪জন হতদরিদ্র শ্রমিক দ্বারা ২১টি প্রকল্পের কাজের মাধ্যমে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই মাস হতে এ কর্মসৃজন কর্মসূচী চালু হবে। প্রকল্পের মধ্যে মসজিদ মন্দির, ঈদগাহ ও রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ রয়েছে বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সানাউল্লাহ্ জানিয়েছে।#
Ruby